ঝাড়গ্রাম : ক্ষমতা আসার পর থেকেই তৃণমূল সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে জঙ্গলমহলের উপর। বার বার জঙ্গলমহলে প্রতি, সেখানকার মানুষদের প্রতি ভালবাসার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলে মাওবাদী সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। প্রাক্তন মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়ল জঙ্গলমহলে। জঙ্গলমহলের স্বশাসনের দাবি নিয়ে তৈরি হল নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ। নাম জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা। মূলত আদিবাসী ও কুর্মী সমাজের মানুষের একাংশকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ।
নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক অশোক মাহাতোর দাবি, কুর্মীদের আদিবাসী তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং কুর্মী ভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। এর পাশাপাশি সারনা ধর্মের কোড চালু করতে হবে। সেই সঙ্গে মুন্ডা, লোধা, শবর, বইগা সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষদের বেশ কিছু দাবি এখনও পূরণ হয়নি বলেই মনে করছেন অশোক মাহাতো। এই সমস্যা দূর করতে হবে জঙ্গলমহলে স্বশাসনের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মত এই নতুন রাজনৈতি মঞ্চের আহ্বায়কের। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই মতো ইতিমধ্যেই সংগঠনের তরফে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘোরা হচ্ছে।
তবে এই বিষয়টিকে নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলার মুখপাত্র সুব্রত সাহা জানান, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কেউ নতুন রাজনৈতিক দল করতেই পারেন। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি। থাকব। কেউ যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করেন, তো করতেই পারেন। এই নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।”
তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে এই নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি হওয়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আগামী দিনে ভোট ময়দানে এই নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ কতটা প্রভাব ফেলে, সেই দিকেই নজর রাজনীতির কারবারিদের।