ঝাড়গ্রাম: গরু, মোষ পাচারের অভিযোগে ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল ১২ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে ৮১টি গরু ও মোষ। ১২টি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পিকআপ ভ্যানে গরু ও মোষ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় ৬৯টি গরু ও মোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, মানিকপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বালিভাষা এলাকা থেকে দু’টি গাড়ি আটক করে। ওই দুটি গাড়িতে থাকা বারটি গরু উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ১২ জনকে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়।
বুধবার রাতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে চেকিং চলছিল পুলিশের। সেই সময় লোধাশুলিতে গরু ও মোষবোঝাই ১০টি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। এরপরই সেই গাড়ির ডালা খুলতে দেখা যায় গরুবোঝাই। এদিকে গাড়ির চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এমনকী গাড়ির ভিতর থাকা এত গরু নিয়ে কোথায় যাচ্ছে, কোথা থেকে এনেছে, তারও সদুত্তর দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান গরুগুলি পাচারের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ১২জনের মধ্যে কয়েকজন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহার থেকে এই গরুগুলি আনা হচ্ছিল।
গরু পাচারকাণ্ডকে সামনে রেখে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য। ইডি, সিবিআই এবং সিআইডি নিজেদের মতো করে এই মামলার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। অন্যদিকে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে এই মুহূর্তে জেলবন্দি এনামুল হক। এনামুল এই গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত।