ঝাড়গ্রাম: বুকে ব্যথা, শরীরে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ছত্রধর মাহাতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই ছেলের বিয়ে উপলক্ষে সাতদিনের অন্তর্বতী জামিনে গত সপ্তাহেই লালগড়ের আমলিয়ার বাড়িতে ফেরেন ছত্রধর। তাঁর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো জানান, ২-৩ দিন ধরে শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না স্বামীর। বুধবার সারারাত ঘুম হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে শরীরে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। লালগড়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়িও ফিরে আসেন। কিন্তু বিকালের পর থেকে ফের শরীর খারাপ হয় ছত্রধরের। এরপরই ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
৬ জুলাই ছত্রধর মাহাতোর দুই ছেলের বিয়ে ছিল। সেই উপলক্ষে বাড়ির কর্তা এনআইএ আদালত থেকে অন্তর্বতী জামিন নিয়ে ২ জুলাই বাড়ি ফেরেন। বুধবার ছিল ছেলেদের বৌভাতের অনুষ্ঠান। শুক্রবার কলকাতার এনআইএ’র বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করার কথা ছত্রধরের। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি তাঁর বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবার জানায়, পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদযন্ত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে ছত্রধরের। প্রয়োজনে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হতে পারে।
স্ত্রী নিয়তি মাহাতো বলেন, “দু’ তিনদিন ধরে মাথা ঘোরা, বুকে যন্ত্রণা হচ্ছিল। গরমটাও তো খুব বেশি। অনুষ্ঠানের বাড়িতে লোকজনের ভিড়। সব মিলিয়ে শরীরে একটা সমস্যা হচ্ছিল। বুধবার রাতে ঘুমও হয়নি। আজ সকালে শরীর বেশি খারাপ করায় লালগড়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতেও ফিরে আসেন। বাড়িতে গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিকালের পর থেকে অসুবিধাটা বাড়ে। আবার হাসপাতালে নিয়ে আসি। অক্সিজেন চলছে। ডাক্তাররা দেখছেন। পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন। রিপোর্ট পেলে বলা যাবে কী অবস্থা।”
যদিও ছত্রধরের অসুস্থ হওয়ার মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, “তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের এটা তো একটা ট্র্যাডিশন। সিবিআই ডাকার পর মদনবাবু, অনুব্রতবাবুকে হাসপাতালে যেতে তো দেখা গিয়েছে। সেই ট্রেন্ডেই পা রেখেছেন ছত্রধর মাহাতোও। এর আগে এনআইএ ডেকেছিল, তখন তাঁর করোনা হয়েছিল। আবার এখন উনি প্যারোলে ছুটি নিয়ে ছেলের বিয়েতে এসেছেন। বিয়ে শেষ জেলে ঢুকতে হবে, আবার একটা নাটক করছেন। এভাবে কিছুদিন আবার হাসপাতালে হোক বা বাড়িতে হোক কাটাবেন।”