AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Binay Tamang: পাহাড়ে পালাবদল! তিন দল ঘুরে অধীরের হাত ধরে কংগ্রেসে বিনয় তামাং

Binay Tamang: অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিনয় তামাং। ফলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে কংগ্রেসের শক্তি এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল। রবিবার (২৬ নভেম্বর), কালিম্পংয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি।

Binay Tamang: পাহাড়ে পালাবদল! তিন দল ঘুরে অধীরের হাত ধরে কংগ্রেসে বিনয় তামাং
অধীরের হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিলেন বিনয় তামাংImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2023 | 4:39 PM
Share

কালিম্পং: তিন দল ঘুরে শেষ পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিনয় তামাং। ফলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে কংগ্রেসের শক্তি এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল। রবিবার (২৬ নভেম্বর), কালিম্পংয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। তিনি জিটিএ-র নির্বাচিত সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই তিনি জিটিএ নির্বাচনে লড়েছিলেন। কিন্তু, গত ডিসেম্বরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি কোন দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে জল্পনা চলেছে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসেরই হাত ধরলেন তিনি। এর ফলে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের আগে সুবাস ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ এবং বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দলেও ছিলেন তিনি।

এদিন কালিম্পংয়ের টাউন হলে কংগ্রেসের এক কর্মসূচি ছিল। সেখানেই কংগ্রেসে যোগ দেন বিনয়। সভায় জন আন্দোলন পার্চির নেতা তথা প্রাক্তন মোর্চা নেতা হড়কা বাহাদুর ছেত্রীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনিও খুব শিগগিরই কংগ্রেসে যোগ দিতে পরেন বলে শোনা যাচ্ছে। পাহাড়ে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কোনও শক্তিই নেই বললেই চলে। সমতলে কিছু ভোট থাকলেও, পাহাড়ে তাদের সাইনবোর্ড ধরে রখার মতোও শক্তি নেই। এই অবস্থায় বিনয় তামাংয়ের যোগদানে পাহাড়ে অন্তত কংগ্রেসের উপস্থিতিটুকু রইবে। তবে, বিনয় তামাং বা হড়কা বাহাদুর ছেত্রী – কারোরই পাহাড়ের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা নেই বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কাজেই কংগ্রেস কতটা লাভবান হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এক সময় সুবাস ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ দলের নেতা হিসেবেই পাহাড়ে পরিচিত ছিলেন তিনি। এরপর, বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তাঁ ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। দুজনে মিলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৈরি করেছিলেন। এরপর আবার বছর খানেকের জন্য যোগ দেন তৃণমূলেও। তবে, শোনা যায় প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে পাহাড়ের তৃণমূল নেতাদের দূরত্ব ছিল। হামরো পার্টির কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় দলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বেড়েছিল। শেষে, দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোটের পরই দল ছেড়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে গত এক বছরে কখনও তিনি বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, কখনও বিজেপি, কখনও হামরো পার্টিতে যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের হাতই ধরলেন তিনি। এই দলে কতদিন তাঁর মন টেকে, সেটাই দেখার। তবে, দলে যোগ দিয়ে, বিনয় তামাং জানিয়েছেন, পাহাড়ের সমস্যাগুলি দূর করতে কংগ্রেস তাঁকে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ দেবে বলে আশা করছেন তিনি।