কামারপুকুর: সংঘর্ষে এবার উত্তাল হয়ে উঠল হুগলির পূণ্যভূমি কামারপুকুর মঠ চত্বর। সোমবার বিকালে স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে পর্যটকদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় কামারপুকুর মঠ চত্বরে। উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে মঠ থেকে মহারাজদেরও বেরিয়ে আসতে হয়। তারপর গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পর্যটকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ ব্যবসায়ী গুরুতর জখমও হয়েছেন। তবে রেহাই পাননি পর্যটকেরাও।
পুলিশ জানায়, কামারপুকুর মঠ চত্বরে ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর হয়েছে। সংঘর্ষে ৩ ব্যবসায়ী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ পর্যটককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা আসানসোল থেকে এসেছিলেন। উত্তেজনা ঠেকাতে এলাকায় নামানো হয়েছে পুলিশ ও ব়্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে আসানসোল থেকে আগত কয়েকজন পর্যটক কামারপুকুর মঠ চত্বর থেকে বেরিয়ে সংলগ্ন মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে যান। তারপর মিষ্টি কেনার সময়ই দোকানের ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে এবং মুহূর্তের মধ্যে বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কয়েকজন পর্যটক দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভিড় ছিল। মিষ্টি দেওয়ার সময়ে একজনের গায়ে একটু রস লেগে যায়। তারপরেই ওঁনারা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মিষ্টি নিয়ে আর টাকাও দেননি। টাকা চাইলে ওঁরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মারধর করার পাশাপাশি দোকানে ভাঙচুর চালায় এবং মিষ্টি ফেলে ছড়িয়ে দেয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পর্যটকদের সংঘর্ষের খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন কামারপুকুর মঠের মহারাজেরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে গোঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সবমিলিয়ে, কিছুক্ষণের মধ্যেই এদিন বিকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে নেয় কামারপুকুর মঠ চত্বর। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ অভিযুক্ত ৫ পর্যটককে গ্রেফতার করে এবং আহত ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নামানো হয়েছে ব়্যাফ।