খানাকুল: শক্তির আধার হিসাবে যখন দিকে-দিকে মহামায়া দেবী দুর্গার আবাহন চলছে, সেই সময় গৃহবধূকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলের পলাশপাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খুনিয়াচক গ্রামে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনই ওই গৃহবধূকে মারধর করে খুন করেছে বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, মৃত গৃহবধূর নাম বেবি খাতুন (২৮)। হাওড়া জেলার বাগনান গ্রামের বাসিন্দা বেবি খাতুনের বেশ কয়েক বছর আগে খানাকুলের খুনিয়াচক গ্রামে সাইফুল মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। এদিন শ্বশুরবাড়ি থেকেই বেবি খাতুনের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে বেবি খাতুনের বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ। তাঁরা খানাকুল থানায় সাইফুল মল্লিক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। ফলে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেবি খাতুন ও সাইফুল মল্লিকের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাইফুল ও তাঁর পরিবার প্রায়ই বেবি খাতুনের উপর অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। বেবি খাতুনের মামা সবুর আলি জানান, এদিন সকালে বেবি খাতুনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের ফোন করে খবর দেন যে, বেবির শরীর খারাপ হয়েছে। তারপর তাঁরা খুনিয়াচক গ্রামে পৌঁছলে বাড়ির মধ্যে বেবি খাতুনের মৃতদেহ দেখতে পান। সাইফুল বা তাঁর পরিবারের আর কেউ বাড়িতে ছিলেন না। এরপর খানাকুল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তে পাঠায়। সবুর আলির অভিযোগ, সাইফুল ও তাঁর পরিবারের লোকজনের অতিরিক্ত মারধরেই বেবি খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। বেবি খাতুনের শরীরে মারধরের অনেক চিহ্ন রয়েছে বলেও তিনি জানান। এরপর সাইফুল ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খানাকুল থানায় লিখিত খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বেবি খাতুনের পরিবার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।