শিলিগুড়ি: গরিব মানুষের অধিকার রক্ষা করা-ই মূল লক্ষ্য। শনিবার শিলিগুড়িতে আইন কলেজের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের কাজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমার কাজের ধারা অন্যরকম। বিচারপতি হিসেবে গরিব মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করি।”
এদিন মূলত শিলিগুড়ির দাগাপুরে একটি বেসরকারি আইন কলেজের সেমিনারে যোগ দিতে আসেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই নিজের কাজা তুলে ধরেন তিনি। সকলকে ন্যায় বিচার দিতে তিনি কেবল এজলাসে নয়, এজলাসের বাইরেও সকলের সঙ্গে কথা বলেন, সকলের কথা শোনেন। সেকথা তুলে ধরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার কাজের ধারা ও স্টাইল আলাদা। আমার হ্যাবিট বা ব্যাড হ্যাবিট যাই বলুন, আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। যে সব গরিব মানুষ হাইকোর্টে আসতে পারেন না তাঁরাও যাতে বিচার পান, তা সুনিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”
শুধু মুখে বলা নয়, এদিন সেমিনার শেষে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথাও বলেন বিচারপতি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওই চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১২ সালে একটি স্কুলের প্যানেলে তাঁর নাম প্রথমে থাকলেও ইন্টারভিউয়ের পর তিনি চাকরি পাননি। এ ব্যাপারে একেবারে লিখিত অভিযোগপত্র বিচারপতির হাতে তুলে দেন তিনি। যদিও এদিন এব্যাপারে বিচারপতির তরফে স্পষ্ট কোনও আশ্বাস মেলেনি। তিনি জানান, এখন তিনি শুধুমাত্র প্রাথমিকের মামলাগুলি শুনছেন। তবে ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি টেনে বের করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপেই বেআইনিভাবে নিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের যেমন চাকরি গিয়েছে, তেমনই স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্যানেলে নাম উঠে চাকরি না পাওয়া বহু প্রার্থী নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। নতুন করে ভবিষ্যৎ খুঁজে পেয়েছেন।