কলকাতা : প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের (TMC) অন্দরের সমীকরণে বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সংঘাতের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 PGS) জেলা নেতৃত্বের কাছে শীর্ষ নেতৃত্ব রিপোর্ট তলব করায় সেই সংঘাত আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে পুরভোটের কো-অর্ডিনেটর পদে ঘটল বদল। দায়িত্ব থেকে সরানো হল অরূপ বিশ্বাসকে (Arup Biswas)। কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেলেন কুণাল ঘোষ ও শওকত মোল্লা। একদিকে যখন অভিষেক-ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গির খানের বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, তখন জাহাঙ্গির- বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা ওয়েবসাইটে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হয়ে গেলেও পরে প্রকাশ হয় দ্বিতীয় তালিকা। দ্বিতীয় তালিকায় সই ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানিয়েছেন ওই দ্বিতীয় তালিকাই চূড়ান্ত। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের পরও ডায়মন্ড হারবারের কোনও কোনও ওয়ার্ডে দেখা যায় বিভ্রান্তিকর ছবি। দেখা যায়, দ্বিতীয় তালিকাকে তোয়াক্কা না করে প্রথম তালিকায় নাম থাকা অনেকেই প্রচার শুরু করেছেন পুরোদমে। প্রথম তালিকা অনুসারেই মনোনয়ন পেশ করেছেন প্রার্থীরা।
এই অস্বস্তিকর ছবি প্রকাশ্যে আসতেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে সেই রিপোর্ট চেয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পুরভোটের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অরূপ বিশ্বাসকে। তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপকে। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুর নির্বাচনের কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও দাপুটে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে। শুভাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গেই কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে থাকবেন এঁরা।
দলের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ধমানের দায়িত্বে থাকা পুলক রায়ের হাতে একাধিক জেলার ভার ছিল। তাই অরূপকে বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হল। আর শওকত মোল্লাকে আনার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। ওই এলাকায় জাহাঙ্গির খান- বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত শওকত। আর জাহাঙ্গির খান অভিষেক ঘনিষ্ঠ নেতা। সম্প্রতি জাহাঙ্গির খানের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এরপরই শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দিতে চেয়ে দল কোনও বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল জাহাঙ্গিরকে। ২০১৪ সালে প্রথমবার যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হন, তার পর থেকেই আলোয় উঠে আসে জাহাঙ্গিরের নাম। পরে তিনি পরিচিতি তৈরি করেন এলাকায়।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা : প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের (TMC) অন্দরের সমীকরণে বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সংঘাতের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 PGS) জেলা নেতৃত্বের কাছে শীর্ষ নেতৃত্ব রিপোর্ট তলব করায় সেই সংঘাত আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে পুরভোটের কো-অর্ডিনেটর পদে ঘটল বদল। দায়িত্ব থেকে সরানো হল অরূপ বিশ্বাসকে (Arup Biswas)। কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেলেন কুণাল ঘোষ ও শওকত মোল্লা। একদিকে যখন অভিষেক-ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গির খানের বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, তখন জাহাঙ্গির- বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা ওয়েবসাইটে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হয়ে গেলেও পরে প্রকাশ হয় দ্বিতীয় তালিকা। দ্বিতীয় তালিকায় সই ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানিয়েছেন ওই দ্বিতীয় তালিকাই চূড়ান্ত। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের পরও ডায়মন্ড হারবারের কোনও কোনও ওয়ার্ডে দেখা যায় বিভ্রান্তিকর ছবি। দেখা যায়, দ্বিতীয় তালিকাকে তোয়াক্কা না করে প্রথম তালিকায় নাম থাকা অনেকেই প্রচার শুরু করেছেন পুরোদমে। প্রথম তালিকা অনুসারেই মনোনয়ন পেশ করেছেন প্রার্থীরা।
এই অস্বস্তিকর ছবি প্রকাশ্যে আসতেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে সেই রিপোর্ট চেয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পুরভোটের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অরূপ বিশ্বাসকে। তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপকে। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুর নির্বাচনের কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও দাপুটে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে। শুভাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গেই কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে থাকবেন এঁরা।
দলের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ধমানের দায়িত্বে থাকা পুলক রায়ের হাতে একাধিক জেলার ভার ছিল। তাই অরূপকে বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হল। আর শওকত মোল্লাকে আনার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। ওই এলাকায় জাহাঙ্গির খান- বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত শওকত। আর জাহাঙ্গির খান অভিষেক ঘনিষ্ঠ নেতা। সম্প্রতি জাহাঙ্গির খানের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এরপরই শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দিতে চেয়ে দল কোনও বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল জাহাঙ্গিরকে। ২০১৪ সালে প্রথমবার যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হন, তার পর থেকেই আলোয় উঠে আসে জাহাঙ্গিরের নাম। পরে তিনি পরিচিতি তৈরি করেন এলাকায়।