মালদহ: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহ। বছর দশের নাবালিকাকে চরম শারীরিক নির্যাতনের পর খুনের অভিযোগ। বাড়ির ছাদে ছোড়া হল মাথা। জঙ্গল থেকে মিলল মুন্ডহীন দেহ। আর সব থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়, যে বাড়ির ছাদ থেকে মেয়েটির মাথা উদ্ধার হয়েছে তার নাকের ডগায় পুলিশলাইন এবং ইংরেজবাজার থানা। গোটা ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা নাবালিকা একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত। তার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুদিন আগে কিশোরীকে বাড়ির ডেকে নিয়ে গিয়ে অপরহণ করা হয় বলে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেছিল পরিবার। পুলিশের হাতে সেই সময় তুলে দেওয়া হয় সিসিটিভি ফুটেজও। সেই ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর বুধবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় নাবালিকার মুন্ডহীন দেহ। মাথা পাওয়া যায় সেই এলাকারই একটি বাড়ির ছাদ থেকে। আর দেহটি মেলে বাজারের কাছের একটি ঝোপ থেকে। পুলিশের অনুমান, কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে।
এ দিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ঘেরাও করে মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তের ঘরবাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এমনকী ইংরেজবাজার থানায় এসেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃত নাবালিকার কাকা বলেন, “ওকে আগেই কিডন্যাপ করা হয়েছিল। এখন জানতে পারলাম এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে।”