মালদা : রাজ্যে ফের টাকার পাহাড়। এবার যকের ধনের খোঁজ কালিয়াচকে (Kaliachak)। এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩৩ লক্ষ টাকা (33 lakh recovered)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্য়বসায়ীকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ভাইকেও। সূত্রের খবর, কালিয়াচকের বাসিন্দা জসিমউদ্দিনের আহমেদের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা লুকানো রয়েছে। এই খবর আগেই পেয়েছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এদিন তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই উদ্ধার হয় ৩৩ লক্ষ ৩ হাজার ১০০ টাকা। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর কাছে এল এদিন পুলিশের কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি জসিমউদ্দিন। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই রবিউল ইসলামকেও (২৪)।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার করার পর ধৃতদের জেরা করে টাকার আসল উৎস সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কালিয়াচকেরই রাজু নামে এক বাসিন্দার বলে জানা যাচ্ছে। এই ব্যক্তি জসিমউদ্দিনের আত্মীয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় ব্রাউন সুগারের কারবার করে রাজু। সেই ব্যবসা থেকেই তোলা টাকা গোপনীয়তার স্বার্থে জমিউদ্দিন-রবিউলের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজুর নামেও। তাঁর খোঁজ চলছে। এ ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকেই মালদার (Malda) কালিয়াচকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল এসটিএফ (STF)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই টাকার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাদক কারবারের। অন্যদিকে তার আগে গাজোলের ঘাকশোলের মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে বিস্তর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই কালিয়াচকে ফের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাপানউতর বাড়ছে গোটা জেলায়।