মালদহ: চুরি হয়ে যাচ্ছে ‘সরকারি গরু’! অবাক করা অভিযোগ মালদহের মানিকচকে! আর্থিক সংস্থানের জন্য দরিদ্র গ্রামবাসীদের দেওয়া হচ্ছে গবাদি পশু, আর সে সব মানুষের কাছে পৌঁছনোর অনেক আগেই উধাও হয়ে যাচ্ছে গরুগুলি। যাঁরা ওই গরু পেলে কিছুটা উপকৃত হবেন, তাঁদের হাতে যাচ্ছে না গবাদি পশু। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গরিব মানুষ নয়, নেতারাই নাকি আত্মসাৎ করে নিচ্ছেন সে সব গরু। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ছবি প্রকাশ্য়ে আসার পর সেই অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে।
দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য পশুপালনের ব্যবস্থা করতে গবাদি পশু দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। কিন্তু সে সব পশু নিজেদের মধ্যেই ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা, এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদহে। তৃণমূলেরই এক নেতার পোস্ট ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দেওয়া গরু নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের সদস্যা আনজুম সাজিরার স্বামী আবু তালেবের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মানিকচকে।
পশু নেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের এক কর্মকর্তা। এই বিষয়ে দক্ষিণ মালদহের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘চুরি করা এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আত্মসাৎ করার জন্যই এরা গরু নিয়েছে।’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আবু তালেবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান খাতুন যোগ্য বলে মনে করেছেন বলেই তাঁকে গরু দিয়েছেন। আধার কার্ডও দিয়েছিলেন তিনি। তিনি স্বীকার করেছেন যে এটা দরিদ্র পরিবারগুলিকেই দেওয়ার কথা।
পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান খাতুনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, আনজুম সাজিরা মৎস্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের স্থায়ী সমিতির সদস্য, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্বামীর নাম সরাসরি দিয়েছেন। এমনকী গরুর জন্য আধার কার্ডেরও প্রয়োজন হয় না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।