Malda : ৩০২টি ভুয়ো প্রকল্প! মালদায় একশো দিনের কাজে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 27, 2022 | 8:41 PM

Malda : বিজেপির অভিযোগ, একশো দিনের কাজে দুর্নীতিতে সরকারি অফিসার থেকে তৃণমূলের নেতারা জড়িত। বিভিন্ন প্রকল্পে ১০ শতাংশও কাজ হয় না।

Malda : ৩০২টি ভুয়ো প্রকল্প! মালদায় একশো দিনের কাজে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ
একশো দিনের কাজে মালদায় গত ২ বছরের ১৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ

Follow Us

মালদা : অনুমোদন দেননি জেলাশাসক। তারপরও দিব্যি কাজের ‘অনুমোদন’ মিলেছে। তার ভিত্তিতে ‘কাজ’ও হয়েছে। এবং সেজন্য টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। একশো দিনের কাজে (MGNREGA) এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদায়। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৩০২টি প্রকল্প ভুয়ো। অভিযোগ সামনে আসার পর কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। যদিও তার মধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ শেষও হয়ে গিয়েছে বা চলছে। টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই টাকা কীভাবে কোন খাতে খরচ হল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতদিন বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সামনে। মালদার চারটি পঞ্চায়েতে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই ভুয়ো। অনুমতি ছাড়াই একশো দিনের এইসব প্রকল্প সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। পোর্টালে সেইসব প্রকল্প দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনিক কর্তাদের। পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি, মহেশবাথানি, মুচিয়া ও ভাবুক এই ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩০২টি প্রকল্প নিয়ে এই অভিযোগ। কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিওকে।

এই নিয়ে তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “সরকারকে কলঙ্কিত করার চক্রান্ত হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” বিডিও-কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বিডিও-র বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। উনি কীভাবে কিছু না দেখে অনুমোদন দিচ্ছেন।” শাসকদলের কেউ এতে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে
তিনি স্পষ্ট করে দেন।

এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। মালদার বিজেপির নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “জেলায় গত ২ বছরে ১৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। অফিসার থেকে তৃণমূলের নেতারা এর সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন প্রকল্পে ১০ শতাংশও কাজ হয় না। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স টিম আসার কথা রয়েছে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

একাধিক প্রকল্প জেলাশাসকের অনুমোদন ছাড়াই কীভাবে হচ্ছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে পুরাতন মালদার বিডিও মহম্মদ ইরফান হাবিব বলেন, “বেশিরভাগ কাজ শুরু হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের জানানো হয়েছে। এখনও কোনও উত্তর পাইনি। দুর্নীতি প্রমাণ হলে জেলাশাসক সিদ্ধান্ত নেবেন।”

Next Article