মালদহ: কোথাও ভেঙে পড়ছে ছাদ, কোথাও আবার কঙ্কালসার অবস্থা গোটা স্কুলেরই, কোথাও আবার দেওয়াল ভেঙে পড়ার উপক্রম। সাম্প্রতিককালে এই ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে একাধিক স্কুলে। প্রথামিক থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্য়মিক, সব স্কুলের ক্ষেত্রেই এসেছে অভিযোগ। এমনকী প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে নানা ক্ষেত্রে। এবার ফের একই ছবি মালদহে। হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে পিলার। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নতুন ভবন তৈরির ফলেই এই অবস্থা বলে অভিযোগ। এমনকী ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ ২৩ লক্ষ টাকার বেশিরভাগই লোপাট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাতে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহের মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রজলালটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসএসএম ফান্ড থেকে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন ২টি ভবন তৈরির কথা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভবন তৈরির জন্য যে পিলার তৈরি হচ্ছে সেগুলির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী। যেভাবে কাজ হওয়ার কথা ছিল সেইভাবে কাজ হচ্ছে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
যে লোহার রোডগুলির ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি নিম্নমানের তো বটেই সঙ্গে যে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলিও খারাপ বলে অভিযোগ। যে কারণে তৈরির পরপরই হাত দিলে সেগুলি ভেঙে যাচ্ছে। স্কুলে আসা পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। ঘটনার প্রশাসনিক তদন্তের দাবিও তোলা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অচিন্ত মণ্ডল। তিনি বলছেন, খুবই খারাপ সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে। হাত দিতেই পিলাগুলি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ঘটনার কথা বিডিওকে লিখিতভাবে জানানো হবে। ব্রজলালটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুন মণ্ডল জানাচ্ছেন, সঠিকভাবে কাজ হোক তিনিও চান। দ্রুত তিনি বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।