কলকাতা: কিছু মাস আগে মালদার (Malda) চাঁচল থানার খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিপুর এলাকা থেকে উদ্ধা হয়েছিল তাজা বোমা (Bomb)। রানিপুর এলাকার বাসিন্দা মমতাজ আলি গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা। এবার যেন ফের একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল লদার চাঁচল থানার গোবিন্দপাড়া-কালিগঞ্জ এলাকায়। সূত্রের খবর, গোবিন্দপাড়া-কালিগঞ্জে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি আম গাছের নীচে একটি লাল ব্যাগকে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কার ব্যাগ, বা কেউ ফেলে গিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে শুরু থেকে কিছুই জানতে পারা যাচ্ছিল না। কিন্তু, কিছু সময় পর গোটা ঘটনার খোলস খুলতেই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে ব্যাগের খবর খবর ততক্ষণে চাউর হয়েছে আশেপাশের এলাকাতেও। ব্যাগ ঘিরে জমাট বাঁধতে থাকে রহস্য। জমতে থাকে ভিড়। শেষ পর্যন্ত ব্যাগ খুলতেই খোঁজ চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল সকলের। দেখা যায় ব্যাগ ভর্তি বোমায়। খবর যায় চাঁচল থানায়। কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনা স্থলে আসে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। খবর যায় বোম স্কোয়াডেও। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই গোটা এলাকা লাল ফিতে দিয়ে ঘিরে ফেলে পুলিশ।
এদিকে দিনেদুপুরে ব্যস্ততম সড়কের ধারে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও। কে, বা কারা ওই জায়গায় বোমা রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এলাকায় রীতিমতো থমথমে পরিবেশ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শুভাশিষ সরকার বলেন, “ ৩১ নম্বর জাতীয় সরকারের পাশে এখানে একটি শ্মশান রয়েছে। আজ এখানেই আম গাছের নীচে একটা ব্যাগ পড়েছিল। ব্যাগের মধ্য থেকেই থেকে চার থেকে পাঁচটা তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এদিকে এখানে নানা ধরনের লোক এসে নেশা করে। জুয়া-মদের আসরও এখানে বসে। আমরা এখন খুবই আতঙ্কে রয়েছি। এখানে আলোর ব্যবস্থা করার প্রয়োজন রয়েছে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে।”