মালদহ: ১১০ বছরের পুরনো স্কুল অক্রুরমনি করোনেশন ইন্সটিটিউশনের বিশেষ সুনাম রয়েছে এলাকায়। বরাবরই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলাফল হয় ওই স্কুলের পড়ুয়াদের। আর সেখানকার শিক্ষিকার নাম উঠল ১৮৩ জনের তালিকায়। ২০২১ সালে বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে ওই স্কুলে চাকরি পান শুভশ্রী মিশ্র। তাঁর নাম উঠেছে তালিকায়। ২১ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। আদালতের নির্দেশে, বৃহস্পতিবারই এসএসসি-র তরফে ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করেছিল এসএসসি।
বৃহস্পতিবার পর্যন্তও ক্লাস নিয়েছেন শুভশ্রী মিশ্র। পরীক্ষার হলে গার্ডও দিয়েছে তিনি। কিন্তু আজ শুক্রবার আর দেখা নেই, স্কুলে যাননি তিনি। কিছু না জানিয়েই অনুপস্থিত শুভশ্রী। যে শিক্ষিকা দায়িত্ব সহকারে এতদিন স্কুলে এসেছেন, কাজ করেছেন সেখানে হঠাৎ তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সহকর্মীদের মনেও। তাঁর বেতনও বন্ধ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উৎপল গুন জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে বা শুভশ্রীর কাছে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সরকারি নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি। তাই কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি স্কুলের তরফে। নির্দেশ এলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ছাত্রদের অভিভাবকেরা বলছেন, শুভশ্রী মিশ্র শিক্ষিকা হিসেবে ভাল ছিলেন। দায়িত্ব সহকারে পড়ান। তেমন কোনও অসঙ্গতি কখনও চোখে পড়েনি তাঁদের। তাই বাংলার শিক্ষিকা না আসায় নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে পড়ুয়াদের মনে।
এদিকে, মালদহের ২৪ জন রয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওই তালিকায়। চাঁচলের খর্বার এইচ এন হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক আজাদ আলি মির্জার নামও উঠেছে এসএসসি-র দেওয়া ১৮৩ জনের তালিকায়। তাঁর বেতন ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি গত কয়েকমাস থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে দাবি স্কুলের সহকর্মীদের। জেলার ২৪ জন শিক্ষকই গা ঢাকা দিতে শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে খর্বা এইচ এন হাইস্কুল, কালিয়াচক, সাট্টারি, চর সুজাপুর ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকার স্কুল।