মালদা: রবিবার মালদহ থেকে বিজেপি নেতা বুরন মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই খুনের পিছনে তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূর হাত রয়েছে। তাঁরা আবার তৃণমূল করেন। খুনের এই ঘটনাটি বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা খুন হবে তা আগে থেকেই জানত পুলিশ। কিন্তু তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
খগেন মুর্মু বলেন, “উনি অবসাদগ্রস্ত, ফাঁসিতে ঝুলে পড়েছেন এই সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশের তৈরি করা গল্প। তৃণমূলের তৈরি করা গল্পই এখন পুলিশ বলছে। আজ পুলিশের কাছে জবাব চাইব। এটা পারিবারিক ঘটনা নাকি বিজেপি করার অপরাধে খুন করা হয়েছে?” বিজেপি সাংসদের দাবি, বুরন মুর্মু আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি খুন হতে পারেন। সেই কারণে পুলিশের কাছে জানিয়েও ছিলেন। এর আগেও তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। সেই খবরও ছিল পুলিশের কাছে।
যদিও বিষয়টিকে পারিবারিক ঝামেলা বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। বামন গোলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অশোক সরকার বলেন, “একজন গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা হয়। পরে জানতে পারি আমাদের এসটি সেলের নেতা বিপ্লব মুর্মু গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছেন। এবার তাঁদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গন্ডগোল চলছিল। এখানে অযথা বিজেপি রাজনীতি টানছে। ওরা ভাল ফল করতে পারেনি বলেই এইসব করছে।”
উল্লেখ্য, গতকালের এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ গেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুনের দাবি তুলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম। মৃতদেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে বাহিনী। সোমবার সকালেও ওই এলাকায় টহল দেন জওয়ানরা।