Malda: মিড ডে মিলে ‘দুর্নীতি’! প্রতিবাদ করতেই SI এর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, ঘর ছাড়া হেড মাস্টার

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 04, 2024 | 5:15 PM

Malda: দুবোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের টাকা নয়ছয় সহ সিলিন্ডারের হিসাবে গড়মিলের অভিযোগ ওঠে। বিষয় সামনে আসতেই গর্জে ওঠেন প্রধান শিক্ষক। তারপরই স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ডেকে পাঠানো হয় প্রধান শিক্ষককে।

Malda: মিড ডে মিলে ‘দুর্নীতি’! প্রতিবাদ করতেই SI এর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, ঘর ছাড়া হেড মাস্টার
কী বলছেন প্রধান শিক্ষক?
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

মালদহঃ স্কুলের মিড ডে মিলে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ। স্কুলের সার্কেল ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। আতঙ্কে স্কুলে পর্যন্ত আসতে পারছেন না। হুমকির জেরে বাড়িও ছাড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুরের কোরিয়ালী সার্কেলের দুবোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হক। তিনিই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 

দুবোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের টাকা নয়ছয় সহ সিলিন্ডারের হিসাবে গড়মিলের অভিযোগ ওঠে। বিষয় সামনে আসতেই গর্জে ওঠেন প্রধান শিক্ষক। তারপরই স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, অভিযুক্ত পরিদর্শক একই সার্কেলে ১০ বছর ধরে বহাল রয়েছেন। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে কীভাবে তিনি একই পদে একই সার্কেলে থেকে গেলেন সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাহলে তাঁর মাথায় রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর হাত? সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে। 

নির্যাতিত প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হক বলছেন, “এসআই মণিরুল ইসলামের মদতেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা হচ্ছে। চাকরি খাওয়ারও চেষ্টা হচ্ছে।” অভিযোগ, তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে স্কুলের এক সহ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সেই সময়ই যত কাণ্ড। মিড ডে মিল থেকে রান্না গ্যাসে গড়মিল ধরা পড়লে প্রতিবাদ করেন রিয়াজুল। দেখা যায় মিড ডে মিলের চাল বিক্রি করে সেই টাকা খরচ করা হয়েছে পিকনিক এবং বিরিয়ানির পিছনে। অভিযোগ, সবটাই এসআই-কে জানানো হলেও শুরুতে তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি। পাল্টা তাঁকেই হেনস্থার শিকার হতে হয়। ইতিমধ্যেই হরিশচন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতেও জানিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত সার্কেল ইন্সপেক্টর বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। সবটাই মিথ্যা। 

Next Article