মালদা: ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ শুধু শহর কলকাতা বা শহরতলিতে নয়, জেলাগুলিতেও একইরকমভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জেলায় জেলায়। পরিত্রাণ নেই মালদাতেও। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৪০ জনের বেশি রোগী ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি। এছাড়া মালদার অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমগুলিতেও একই ছবি। একে তো ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তা, তার উপর আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জমা জল। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন মালদার বেশ কিছু এলাকা। কোথাও কোথাও পাম্প করে জল বের করা হচ্ছে বটে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলানো যায়নি। মালদা শহরের প্রান্ত পল্লী, সর্বমঙ্গলা পল্লী, বিবেকানন্দ পল্লী, সুভাষ পল্লী-সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে জল এখনও পুরোপুরি নামেনি। কোথাও কোথাও হাঁটুজল পর্যন্ত অবস্থা।
ডেঙ্গি নিয়ে যখন এমন উদ্বেগের পরিস্থিতি মালদায়, তখন এই বৃষ্টির জল জমে থাকায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। অন্তত এমনই মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। সাধারণত বৃষ্টি হলে, ডেঙ্গির প্রকোপ কমার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, কোথাও যদি জমা জলে কিংবা নিকাশি নালায় ডেঙ্গি মশার লার্ভা থাকে, তা বৃষ্টির জলের তোড়ে ভেসে যায়। কিন্তু সমস্যা হয়, যদি বৃষ্টির জল বেরনোর জায়গা না পায়। সেক্ষেত্রে বৃষ্টির জল জমে সেখানে আবার ডেঙ্গি মশা বংশ বিস্তার করার সুযোগ পেয়ে যায়। আর এবার মালদাতেও অনেকটা তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক রিক সান্যাল।
চিকিৎসক রিক সান্যালের বক্তব্য, “টানা বৃষ্টি হলে মালদায়, বিশেষ করে মালদা শহর থেকে জল সহজে বেরোতে পারে না। ফলে মালদা শহরের বহু এলাকায় জল জমে থাকে। জল নেমে গেলেও, কিছু গর্তে বা নীচু রাস্তায় জল জমে থাকে। সেখান থেকে মশার উপদ্রব বাড়ে। এবারে সেই সমস্যাগুলি হচ্ছেই। তবে প্রত্যেকবারই ডেঙ্গির প্রকোপ থাকে মালদায়। এবারেও আছে। তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশিই আছে। নিয়মিত প্রচুর ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে।”
যদিও মালদা মেডিক্যালের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহার বক্তব্য, ডেঙ্গি পরিস্থিতির ট্রেন্ড চলতি সপ্তাহে কিছুটা নিম্নমুখী। এই মুহূর্তে মালদা মেডিক্যালে সব মিলিয়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ কেউই নেই।