মালদা : ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader)। মাশুল দিতে হল জীবন দিয়ে। প্রতিবাদী তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মালদায় (Malda) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবলা পাঠানপাড়া এলাকায়। মৃত আফজল মোমিন (৬৫) কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, স্থানীয় একটি ক্লাবের ছেলেরা তারস্বরে ডিজি বাজাচ্ছিলেন। ক্লাবের ছেলেদের কাছে গিয়ে ডিজি বন্ধ করতে বলেন মোমিন। তাতেই মোমিনের সঙ্গে বচসা বাঁধে ক্লাবের ছেলেদের। তখনই মোমিনের উপর সদলবলে চড়াও হন ক্লাবের সদস্যরা। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল নেতার।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে, জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই আমাদের কাছে বেদনাদায়ক। যা ঘটেছে তার জন্য আমরা ধিক্কার জানাই। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাই।” সূত্রের খবর, যাঁরা ওই তৃণমূল নেতাকে মারধর করে খুন করেছেন তাঁরাও তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থক। যা নিয়েও তৈরি হয়েছে চাপানউতর। ফের নতুন করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, “দুষ্কৃতীদের কোনও রঙ হয় না। তাঁদের কোনও পার্টি হয় না। আমরা পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি। মালদায় আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে ভাল রয়েছে। কোথাও দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। যা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে।” “তোলাবাজদের লড়াইয়েই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।” পাল্টা তোপ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপির জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “তৃণমূল আদপে যে উন্নয়নের কথা বলে সেটা হয়েছে। সেটা আদপে তোলাবাজি আর সিন্ডিকেটের উন্নয়ন। তোলাবাজদের লড়াইয়েই এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ডিজের কোনও ঘটনা নয়। ভিতরে খোঁজ নিয়ে দেখলেই এটা বোঝা যাবে। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই আগামীতে ভারতীয় জনতা পার্টি ধরাশায়ী হবে।”