Fake Doctors: TV9 বাংলার খবরের জের, মালদহে ভুয়ো ডাক্তার ধরতে এবার অভিযানের নির্দেশ জেলাশাসকের
Fake Doctors: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে গোবরাঘাট হাটে ধরা পড়ে ভয়ঙ্কর ছবি। গ্রামের হাটেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পসরা সাজিয়ে বসেছেন এই ভুয়ো চিকিৎসকরা। নিজেদের চিকিৎসক বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিরা নিজেরাই বলছেন, তাঁদের কাছে কোন কাগজ নেই।

মালদহ: মালদহের হাটে হাটে ভুয়ো ডাক্তারের হদিশ! নেই ডাক্তারি ডিগ্রি, কিন্তু বছরের পর বছর রোগী দেখছেন, ওষুধও দিচ্ছেন। সেই ওষুধ আবার জাল! ভয়ঙ্কর অভিযোগ। এইভাবেই প্রতারণা করে চলেছেন। TV9 বাংলার খবরে উঠে আসে এই তথ্য। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তদন্তের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়ার। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের তরফে এই সব প্রতারক চিকিৎসকদের ধরতে অভিযান চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে গোবরাঘাট হাটে ধরা পড়ে ভয়ঙ্কর ছবি। গ্রামের হাটেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পসরা সাজিয়ে বসেছেন এই ভুয়ো চিকিৎসকরা। নিজেদের চিকিৎসক বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিরা নিজেরাই বলছেন, তাঁদের কাছে কোন কাগজ নেই। তাঁরা ডাক্তারি দেখে শিখেছেন। তাঁদের কেউ ডেন্টিস্ট, কেউ মেডিসিনের ডাক্তার। তাঁরা ওষুধও লিখছেন। মঙ্গলবারই TV9 বাংলার ক্যামেরায় উঠে আসে ভয়ঙ্কর ছবি। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, “দ্রুত এই নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে। কারণ এটা উদ্বেগের বিষয়।” অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে স্বাস্থ্য শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে আরও বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি তথা মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের। তাঁর কথায়, “শুধু একটা কোনও গ্রাম বা ব্লক নয়, জেলা জুড়ে প্রত্যেক গ্রামেই ১০ থেকে ১২ জন করে এমন প্রতারক আছে। যাঁদের অক্ষর জ্ঞান নেই, অ আ জানে না। তাঁরা রঙ চিনে , আকার দেখে ট্যাবলেট ওষুধ দেয়। জাল ওষুধ দেয়। দিনের পর দিন এভাবেই প্রতারণা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। মোটা টাকা রোজগার করছে মানুষকে প্রতারিত করে।”
অন্যদিকে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি ফোনে জানান, “ওঁরা হাতুড়ে ডাক্তারও নন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যেখানে একটা পার্ট স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি সচেতন করা প্রয়োজন মানুষদের।” হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এর বিডিও তাপস কুমার পাল জানান, এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরকে।

