মালদহ: কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। স্ত্রীর নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকেই থমকে গেলেন স্বামী। দেখলেন ওড়না পেঁচিয়ে তাঁর দেহ ঝুলছে সিলিং ফ্যানে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তার পর সবাইকে ডেকে জড়ো করেন। সেই দেহ নামাতে নামাতেই সবার অলক্ষ্যে ফিনাইল খেয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামীও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোলে।
গাজোলের বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এলাকায় সবার সঙ্গে তেমন মিশতেন না। তবে কারও সঙ্গে অহিনকুল সম্পর্কও ছিল না তাঁদের। স্বামী-স্ত্রীকে কখনও ঝগড় করতে শোনেননি কেউ। সেই বাড়ি থেকেই আচমকা পুরুষ কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান প্রতিবেশীরা।
এসে দেখেন, সুব্রতবাবুর স্ত্রী রূপা শোয়ার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন! তড়িঘড়ি সকলে মিলে রূপাকে নামাতে যান। নামিয়েও আনেন। ইতিমধ্যেই তখন সুব্রতবাবু নিজেকে বাথরুমে বন্দি করে ফেলেছেন। কিছুক্ষণ বাদে নিজেই দরজা খুলে ঘরে চলে আসেন। তাঁকে দেখেও চমকে ওঠেন সবাই। এক বোতল ফিনাইল খেয়ে ফেলেছেন তিনি!
স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই তড়িঘড়ি গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। কিন্তু গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক রূপা মুখোপাধ্যায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে সুব্রতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে তাঁকে প্রথমে গাজোল হাসপাতাল তারপর মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার একটি বেসরকারি হাসপাতাল। কিন্তু কোনও চেষ্টাই সফল হল না। স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হল কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
কিন্তু কেন এমন ঘটালেন স্ত্রী? প্রতিবেশীদের দাবি, কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির আভাস পাননি তাঁরা। তার মধ্যে কী থেকে যে কী হয়ে গেল! ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! শিশু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, ‘ধৃতের সঙ্গে একই মঞ্চে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ’