মালদহ: টোটো কেনার টাকা না পেয়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ স্ত্রীকে। কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের পর মৃতদেহ ঘরের ভেতরে ফেলে পালিয়ে যান স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার গাবগাছি যদুপুর এলাকায়। গৃহবধূর মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূর নাম রিঙ্কি শীল মণ্ডল (২৬)। অভিযুক্ত স্বামী ছোটন মণ্ডল। কয়েক বছর আগে মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লী নেতাজি কলোনির বাসিন্দা বিপদ শীলের মেয়ে রিঙ্কি শীলের সঙ্গে যদুপুরের যুবক ছোটন মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। মৃত গৃহবধূর বাবা বিপদ শীল জানান, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতেন স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগে থাকত।
এক প্রতিবেশী জানান, ঘটনার পর ওই বাড়িতে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। দরজা ভেঙে পুলিশ দেখতে পায় রান্নাঘরে পড়ে রয়েছে দেহ। ওই ব্যক্তি জানান, মাস ছয়েক ধরে ওই বাড়িতে ভাড়ায় ছিলেন ওই দম্পতি। কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে সমস্যা ছিল, তা জানতেন না প্রতিবেশীরা।
অভিযোগ, পণ হিসেবে টোটো কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন তাঁর জামাই। তা না দিতে পারায় তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত গৃহবধূর পরিবার। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ।