লালগোলা: লালগোলায় চাকরি প্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ধৃতের নাম দিবাকর কোনাই। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। পরে চাকরি না মেলায় এসএসসি গ্রুপ ডি ওই চাকরীপ্রার্থী আত্মহত্যা করেন। ৯ পাতার সুইসাইড নোটে লিখে যান অভিযুক্ত দিবাকরের নাম। সেই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে দিবাকরকে।
ঠিক কী ঘটেছে?
আব্দুর রহমান। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।এসএসসি গ্রুপ ডি পরীক্ষা দিয়েছিলেন আব্দুর রহমান। চাকরি পাননি। পরিবারের দাবি,পরীক্ষা না দিলেও প্রাথমিকের চাকরি পেয়ে যাবেন, এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিল দিবাকর কোনাই নামে ওই প্রতারক।বদলে চেয়েছিলেন সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। আব্দুর রহমান ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কোথায় চাকরি! টাকাও ফেরত দেওয়ার নাম নিচ্ছিলেন না ওই দালাল। পরিবারের দাবি, সেই মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেন যুবক। পাশে লিখে রেখে যান ৯ পাতার একটি সুইসাইড নোট।
গোটা ঘটনায় মৃতের বাবা জানিয়েছিলেন, কলকাতায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। এক বন্ধু মারফত ওই ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। প্রলোভনে পা দিয়ে ফ্ল্যাটে গিয়েই টাকা দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি চাকরি ও টাকা না পেয়ে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে তাঁর। তারপরই তাঁর ছেলে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। ঘটনার মৃতের ঘর থেকে এই ৯ পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে।
এই বিষয়ে সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘একটি আত্মহত্যার কেস দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। তাকে দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’