Malda: ১ মাস ধরে নিখোঁজ ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 25, 2024 | 7:14 PM

Malda: এ বিষয়ে, মানিকচক থানায় ছেলের নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করেন বাবা-মা। মানিকচক থানার থেকে ছেলের মোবাইলের লোকেশন খোঁজা হয় তাতে দেখা যায় কানপুরের লোকেশন। এমনকী তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে বেশ কিছু টাকাও অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

Malda: ১ মাস ধরে নিখোঁজ ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

মালদহ: খোঁজ মিলছে না ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের। পরিবারের দাবি, কানপুরে নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার মানিকচকের অসহায় বাবা-মা। কানপুরের গঙ্গাঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে কানপুর রেলস্টেশন যাওয়ার পথে নিখোঁজ ধরমপুরের যুবক ইন্দ্রনীল ঝাঁ (২৮)। কানপুর রেলস্টেশন থেকেই ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আজ এক মাসের বেশি অতিক্রম হলেও খোঁজ নেই বাড়ির একমাত্র ছেলের।

ইন্দ্রনীল ঝাঁ (২৮)। মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুর পঞ্চায়েতের ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা সাধন ঝাঁ। পেশায় একজন সেলসম্যান। তাঁর মা জয়শ্রী ঝাঁ। পেশায় একজন আশা কর্মী। পরিবারের সূত্রে খবর, নিখোঁজ যুবক ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পানিপথে কাজে যোগ দেন চলতি বছরের মার্চ মাসে। গত ১৯ এপ্রিল ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়ি আসার জন্য পানিপথ থেকে কানপুর বাসে আসেন যুবকটি। কানপুরের গঙ্গাঘাট বাস স্ট্যান্ডে নেমে টোটোতে করে রেল স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সেই সময়ই মায়ের সঙ্গে শেষ বারের মত কথা হয় তাঁর। তারপর থেকেই নিখোঁজ ওই যুবক।

এ বিষয়ে, মানিকচক থানায় ছেলের নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করেন বাবা-মা। মানিকচক থানার থেকে ছেলের মোবাইলের লোকেশন খোঁজা হয় তাতে দেখা যায় কানপুরের লোকেশন। এমনকী তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে বেশ কিছু টাকাও অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

তারপরই ছেলের খোঁজে কানপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বাবা-মা। তবে সেখানে গেলেও সেখানকার পুলিশ সেভাবে সহায়তা করেনি। আর যার ফলে যোগী রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিখোঁজ যুবকের মা। তিনি বলেন, “ছেলেকে খুঁজে না পেলে তার জন্য দায়ী থাকবে যোগী সরকারের পুলিশ। ঠিক একইভাবে নিখোঁজ যুবকের বাবাও কানপুরের পুলিশকে দোষারোপ করেন। পুলিশ সঠিকভাবে সহযোগিতা করলে আমার ছেলে বাড়িতে থাকত।” ইতিমধ্যে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মালদা জেলা সিআইটিও জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা।

Next Article