মালদহ: মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। কোথাও খাবারের মধ্যে পড়ে থাকে আরশোলা, কোথাও ভাসে মরা টিকটিকি। এমনকী সাপ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল মিড ডে মিলের খাবারে। আর এবার ভাতের যা চেহারা দেখা গেল, তাতে নতুন করে উঠল প্রশ্ন। মিড ডে মিলের পরিস্থিতি দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও এসেছিল। তারপরও এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির। সাফাই দিতে তৈরি তৃণমূল।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের গাংনদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুলে। শুক্রবার সকাল থেকে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, বাসি খাবার খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে শিশুদের। আর সেই ভাতের পাত্রে দেখা গেল, থিকথিক করছে পোকা। এই দৃশ্য দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। এছাড়াও একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে পৌঁছন তৃণমূলের জন-প্রতিনিধিরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে রয়েছেন ৯ জন শিক্ষক। তাঁরা নিয়মিত স্কুলেও যান না। গেলেও সই করে বেরিয়ে যান। ফলে পড়ুয়াদের সঠিক দেখভাল হয় না বলে অভিযোগ। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই জন্য কথা বলতে এদিন স্কুলে যান অভিভাবকরা। সেখানে গিয়ে দেখতে পান মিড ডে মিলের ভাতে পোকা থিক থিক করছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার বর্মনের দাবি, স্কুলের কাজ চলছিল। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের খাওয়ানোর জন্য ভাত করা হয়েছিল। কিন্তু একটা ঝামেলার কারণে তারা সেটা খায়নি। সেই ভাতই পড়েছিল। পড়ুয়াদের সেটা দেওয়া হত না বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের।
শিক্ষকদের অনুপস্থিতি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজন অনুযায়ী তারা ছুটি নেন। এই ঘটনার মধ্যস্থতার জন্য স্কুলে যান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যদিও সমগ্র ঘটনা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।