Malda: ১০ বছরে শুধু নীল-সাদা রঙ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্টের মুখে বাম আমলে তৈরি পানীয় জলের প্ল্যান্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 11, 2022 | 2:28 PM

Malda Warter Plant: ধাপে ধাপে কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দ্রুত ঘরে-ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Follow Us

মালদা: কোটি টাকা খরচ করে বসানো হয়েছিল পরিশুদ্ধ পানীয় জলের প্লান্ট। যাতে সাধারণ মানুষ পান করতে পারেন বিশুদ্ধ জল। কিন্তু কোথায় কী? খোদ পুরসভা এলাকার জনগণই পান করছে বিষ জল। অর্থাৎ, আর্সেনিক, ফ্লোরাইড মিশে থাকা জল খেয়ে কাটাতে হচ্ছে দিন। অথচ বিগত ১৯ বছরে ১৫০ কোটি টাকায় তৈরি হওয়া পরিশুদ্ধ পানীয় জলের সেই প্ল্যান্ট শুধুমাত্র রেক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর তার ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গিয়েছে, ভূগর্ভস্থ জল স্তর অনেক নিচে নেমে গিয়েছে মালদায়। ইংরেজবাজার পুরসভার নিজস্ব পাম্প চলে ৬২ টি। যা থেকে জল সরবরাহ হয়। কিন্তু বহু বছর ধরেই সেই জলে বিষের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলেই খবর। আর্সেনিক আর ফ্লোরাইড। তাই ২০০৩ সালে তৎকালীন বাম সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জলের। গঙ্গা বা মহানন্দা থেকে জল উত্তোলন করে পরিশুদ্ধ করে ঘরে ঘরে পাঠানো হবে। যে জল হবে আর্সেনিক মুক্ত। পরে স্থির হয় সেই জল উত্তোলন হবে মহানন্দা থেকে। ইংরেজবাজারের নিমাসরাই এলাকায় প্ল্যান্ট বসানো স্থির হয়।

কেন্দ্র প্রথমে দেয় ৪২ কোটি টাকা। পরবর্তীতে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে ১০৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষ কাজ এগোয় না। প্ল্যান্ট, রিজারভার সবই বছরের পর বছর পরিত্যক্ত হয়ে নষ্ট হতে থাকে। রক্ষণা-বেক্ষনও হয় না। এরমধ্যে ধাপে ধাপে কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দ্রুত ঘরে-ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মাটির নীচে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ঘরে ঘরে যে পাইপ পৌঁছে যাবে। কিন্তু কালক্রমে দেখা যায় সেই লক্ষ লক্ষ টাকার পাইপ ও লোপাট। অবশেষে প্রায় ২০ বছরেও জল পৌঁছালো না ঘরে-ঘরে। ১৫০ কোটি৷ টাকাও উধাও। বিষ জল পান করছে পুরসভার মানুষ।

নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি টাউন সভাপতি বলেন, “এটা মানুষের প্রতি প্রহশন ছাড়া আর কিছু নয়, এত বছর হয়ে গেল তবুও কাজের কাজ কিছু হল। উল্টে চুরি গেছে জিনিসপত্র। তবে আমি বলব সাধারণ মানুষের আরও বেশি সজাগ থাকা উচিৎ ছিল। তাদের ক্ষতিয়ান চাওয়া উচিৎ ছিল পুরসভার কাছ থেকে।” বিজেপি বলছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি বলেন, “ধাপে-ধাপে টাকা এসেছে। রাজ্য-কেন্দ্র যৌথভাবে এই কাজ করে। প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। যন্ত্রপাতি লোপাট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় এলে প্রথমেই এই কাজে হস্তক্ষেপ করব।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

মালদা: কোটি টাকা খরচ করে বসানো হয়েছিল পরিশুদ্ধ পানীয় জলের প্লান্ট। যাতে সাধারণ মানুষ পান করতে পারেন বিশুদ্ধ জল। কিন্তু কোথায় কী? খোদ পুরসভা এলাকার জনগণই পান করছে বিষ জল। অর্থাৎ, আর্সেনিক, ফ্লোরাইড মিশে থাকা জল খেয়ে কাটাতে হচ্ছে দিন। অথচ বিগত ১৯ বছরে ১৫০ কোটি টাকায় তৈরি হওয়া পরিশুদ্ধ পানীয় জলের সেই প্ল্যান্ট শুধুমাত্র রেক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর তার ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গিয়েছে, ভূগর্ভস্থ জল স্তর অনেক নিচে নেমে গিয়েছে মালদায়। ইংরেজবাজার পুরসভার নিজস্ব পাম্প চলে ৬২ টি। যা থেকে জল সরবরাহ হয়। কিন্তু বহু বছর ধরেই সেই জলে বিষের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলেই খবর। আর্সেনিক আর ফ্লোরাইড। তাই ২০০৩ সালে তৎকালীন বাম সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জলের। গঙ্গা বা মহানন্দা থেকে জল উত্তোলন করে পরিশুদ্ধ করে ঘরে ঘরে পাঠানো হবে। যে জল হবে আর্সেনিক মুক্ত। পরে স্থির হয় সেই জল উত্তোলন হবে মহানন্দা থেকে। ইংরেজবাজারের নিমাসরাই এলাকায় প্ল্যান্ট বসানো স্থির হয়।

কেন্দ্র প্রথমে দেয় ৪২ কোটি টাকা। পরবর্তীতে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে ১০৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষ কাজ এগোয় না। প্ল্যান্ট, রিজারভার সবই বছরের পর বছর পরিত্যক্ত হয়ে নষ্ট হতে থাকে। রক্ষণা-বেক্ষনও হয় না। এরমধ্যে ধাপে ধাপে কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দ্রুত ঘরে-ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মাটির নীচে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ঘরে ঘরে যে পাইপ পৌঁছে যাবে। কিন্তু কালক্রমে দেখা যায় সেই লক্ষ লক্ষ টাকার পাইপ ও লোপাট। অবশেষে প্রায় ২০ বছরেও জল পৌঁছালো না ঘরে-ঘরে। ১৫০ কোটি৷ টাকাও উধাও। বিষ জল পান করছে পুরসভার মানুষ।

নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি টাউন সভাপতি বলেন, “এটা মানুষের প্রতি প্রহশন ছাড়া আর কিছু নয়, এত বছর হয়ে গেল তবুও কাজের কাজ কিছু হল। উল্টে চুরি গেছে জিনিসপত্র। তবে আমি বলব সাধারণ মানুষের আরও বেশি সজাগ থাকা উচিৎ ছিল। তাদের ক্ষতিয়ান চাওয়া উচিৎ ছিল পুরসভার কাছ থেকে।” বিজেপি বলছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি বলেন, “ধাপে-ধাপে টাকা এসেছে। রাজ্য-কেন্দ্র যৌথভাবে এই কাজ করে। প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। যন্ত্রপাতি লোপাট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় এলে প্রথমেই এই কাজে হস্তক্ষেপ করব।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article