Malda: মশা মারার ধূপকাঠি জ্বালিয়েছিলেন প্রতিবেশী, আজ নিঃস্ব দুটো পরিবার
Malda Fire: মজদর আলি মঙ্গলবার রাতে খাওয়া সেরে ঘুমোতে চলে গিয়েছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যরাও ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু সেই মশার ধূপ থেকে আগুন লাগে বিছানার চাদরে। প্রথমটায় কেউ বিশেষ বুঝতে পারেননি। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। যতক্ষণে পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা ঘর।

মালদহ: মশা তাড়ানোর ধূপকাঠি থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ভস্মীভূত দুই পরিবারের সর্বস্ব। দমকলের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ততক্ষণে প্রায় সবই পুড়ে খাক। এখন খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষণপুর গ্রামের ঘটনা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
মজদর আলি মঙ্গলবার রাতে খাওয়া সেরে ঘুমোতে চলে গিয়েছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যরাও ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু সেই মশার ধূপ থেকে আগুন লাগে বিছানার চাদরে। প্রথমটায় কেউ বিশেষ বুঝতে পারেননি। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। যতক্ষণে পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা ঘর।
তাঁদের চিৎকার চেঁচামেচিতেই গ্রামের লোক প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ঘর থেকে বালতি গামলা করে জল ঢালতে থাকেন। তখনও ঘরের ভিতরে আটকে ছিলেন মজদর আলি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদেরকেই কোনওরকমে বার করে আনা সম্ভব হয়। তাঁরা বেঁচে গেলেও, ধান, চাল, পাট, আসবাবপত্র সবই পুড়ে যায়। ঝলসে মৃত্যু হয় পোষ্য গরুরও।
কী থেকে আগুন লাগে, তা নিয়েই প্রথমে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পরে জানা যায়, প্রতিবেশীর গোয়াল ঘরে মশার ধূপকাঠি লাগানো হয়েছিল। তা থেকেই আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারি সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মজদর আলি বলেন, “অনেক কষ্টে সংসার গুছিয়েছিলাম। আজ প্রাণে বেঁচেছি কোনওরকমে। কিন্তু আজ আমরা নিঃস্ব। সবই শেষ হয়ে গেল একটা রাতে। কী করব, সেটা বুঝতে পারছি না।”
