মালদা: প্রায়শই বিবাদ হত। প্রতিবেশীরা সে কথা জানতেন। বুধবার সকালেও যখন বাড়ি থেকে তারস্বরে চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন, তাই খুব একটা আমল দেননি প্রতিবেশীরা। কিন্তু কানে হাত চাপা দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় যখন প্রৌঢ়া রাস্তায় ছোটাছুটি করতে থাকেন, তখনই বিষয়টা স্পষ্ট হয়। ওই প্রৌঢ়ার বউমা ততক্ষণে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। গোয়ালঘর নিয়ে বিবাদের জেরে চরম পরিণতি। এক মহিলার কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাসুরের বিরুদ্ধে। আরও শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর বউমাও। তাঁর পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। তিনি অন্তঃসত্ত্বা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার পুকুরিয়ার কুমারগঞ্জ এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত গৃহবধূর নাম সান্ত্বনা মাঝি। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর ভাসুর বিনয় মাজি ও তাঁর ছেলে পিকু মাজির বিবাদ ছিল। এর আগেও একাধিকবার সমস্যা হয়েছে। বুধবার সকালেও একই কারণে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ,অশান্তি চলাকালীন আচমকাই ভাসুর ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁর কান কেটে নেন বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকেন ওই মহিলা। শাশুড়িকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর পুত্রবধূ ঝিলিক। অভিযোগ, সে সময় ভাসুরের ছেলে ঝিলিকের ওপর চড়াও হন। তাঁকে মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারেন বলে অভিযোগ।
ঝিলিক অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। বিনয় মাজি, তাঁর ছেলে পিকু, ছোটন-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঝিলিককে ভর্তি করা হয়েছে পুকুরিয়া হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।