Malda: ‘ওর জন্য গর্ব করে বলতাম, কালিয়াচক আর সেই কালিয়াচক নেই’, দুর্গাপুরের নির্যাতিতার সহপাঠীর গ্রামে জোর গুঞ্জন
Malda: জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি মালদহে। তাঁর আত্মীয়দের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে এলাকায় খুবই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা পরিবার বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

মালদহ: এবার মুখ খুললেন দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার সহপাঠীর পরিবারের সদস্য, গ্রামবাসীরা। ওই সহপাঠীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সহপাঠীকে নিয়ে অকুস্থলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সুনীল কুমার চৌধুরীও স্পষ্ট করেছেন, নির্যাতিতার সহপাঠীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না। কিন্তু এবার মুখ খুলতে শুরু করল ওই যুবকের পরিবার।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি মালদহে। তাঁর আত্মীয়দের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে এলাকায় খুবই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা পরিবার বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এলাকার কেউ ভাবতেই পারছেন না, ওই যুবক এই ধরনের অন্যায় করতে পারেন।
ছেলের কাকা বলেন, “ছেলেটাকে নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। ডাক্তারি পড়ছিল, ডাক্তার হত। আমাদের গ্রাম একজন ডাক্তার পেত। ছেলে খুবই ভদ্র ছেলে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওকে আমরা বাচ্চা বয়স থেকে দেখেছি।”
ঘটনার পর থেকে বাড়িতে দেখা মেলেনি ওই ছাত্রের বাবা-মাকে। তবে বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের গুঞ্জন। চায়ের দোকানেও একই পরিস্থিতি। চায়ের দোকানে বসে থাকা এক ব্যক্তিই বললেন, “আমাদের তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। এত ভদ্র ছেলে এই ধরনের কেস করতেই পারে না। হবে না। ছেলেটা ভীষণভাবেই অনুশাসন মেনে চলে। রাস্তায় যখন বেরোয়, মাথা নীচু করে হাঁটে। ছেলেটা ন্যায়বিচার পাক, এটাই চাই। ”
এলাকার প্রধানের স্বামী তৃণমূল নেতা বলেন, “ভাল পরিবার, সমাজে ওদের ভাল পরিচিতি। বড় ব্য়বসায়ী। হার্ডওয়ারের ব্যবসা রয়েছে, আমের ব্যবসা রয়েছে। বড় পরিবার। তবে দিদার কাছেই মানুষ বলে শুনেছি। আমাদের এলাকা থেকে খুব কমই এত ভাল ছেলে বের হয়। ওর নাম আমরা সবাই আলোচনা করতাম। এলাকার কেউই ভাবতে পারছে না, এরকম হবে। কালিয়াচক থেকে ডাক্তার হতে গিয়েছিল। আমরা সবাইকে বলতাম, কালিয়াচকের ছেলে ও। আমরা গর্ব করে বলতাম, কালিয়াচক আর ওই কালিয়াচক নাই।”
এদিকে, নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, “নির্যাতিতার স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, এক জন অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। ওকে আমরা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সে কারণে ওর জামাকাপড়ও সিজ করেছি।” সহপাঠীর কাছে ফোন থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন ঘটনার কথা কাউকে জানাননি, কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশকে জানাননি, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
