Malda: হাঁটু সমান কাদা, ঢুকল না অ্যাম্বুলেন্স, খাটিয়াতেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল বৃদ্ধকে
Malda: গ্রামে ঢোকার পথে অর্ধ সমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার কাজ। গ্রামের ভেতরে রাস্তা উধাও। ঢুকতে পারে না কোনও গাড়ি। প্রসূতি এবং রোগীদের পড়তে হয় ব্যাপক সমস্যায়। আর বর্ষাকালে গ্রামের মানুষ পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারে না।

মালদহ: আবার সেই খাটিয়া। অথচ রাস্তা তৈরির নামে টাকা লোপাট। একদিকে চরম দুর্নীতি, অন্যদিকে গ্রামে গ্রামে রাস্তার দুরবস্থার সেই এক ছবি। পরিস্থিতি এমন যে, হাঁটু সমান কাদায় গ্রামে ঢুকতেই পারল না অ্যাম্বুলেন্স! খাটিয়াতেই হাসপাতাল নিয়ে যেতে হল রোগীকে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ গ্রামের মহিলাদারে।
রাস্তা নেই গ্রামে। ঢুকতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স, দমকল। বর্ষাকালে পায়ে হেঁটে যাওয়ারও অযোগ্য। রোগীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে খাটিয়া করে। অথচ সেই রাস্তার টেন্ডার হওয়ার পরেও হয়নি কাজ। তবে রাস্তার কাজের টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ।মালদহের চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলা গ্রামে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
গ্রামে ঢোকার পথে অর্ধ সমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার কাজ। গ্রামের ভেতরে রাস্তা উধাও। ঢুকতে পারে না কোনও গাড়ি। প্রসূতি এবং রোগীদের পড়তে হয় ব্যাপক সমস্যায়। আর বর্ষাকালে গ্রামের মানুষ পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারে না।পড়ুয়ারা যেতে পারে না স্কুলে। এদিন গ্রামের এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য খাটিয়া করে নিয়ে যায় এলাকার যুবকরা। তারপরেই গ্রামে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে পঞ্চায়েত থেকে রাস্তার জন্য টেন্ডার হয়েছিল। লাগানো হয়েছিল বোর্ড। তারপর আর কাজ শুরু হয়নি। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা সেই বোর্ডও গায়েব করে দেয়। দুর্নীতি হয়েছে রাস্তার টাকা নিয়ে। দ্রুত রাস্তা না হলে তারা ভোট বয়কট করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগে তারা ব্লক দফতরেও গিয়েছেন। আধিকারিকদের এলাকায় আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করেনি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত। এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। যদিও রাস্তা না হওয়া নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম বলেন, “আমাদের এলাকার মধ্যেই রাস্তাটা পড়ছে। এমন কোনও জায়গা নাই, যেখানে উন্নয়ন পৌঁছয়নি। শুনেছি, বোর্ড সেখানে লাগানো ছিল, এখন নাই, সেটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তা, আমরা সেখানে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। ”
অন্যদিকে, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, “যতবারই ভোট আসে, তখনই তৃণমূল গ্রামে যায়। গিয়ে বলে, রাস্তা করে দেব, ড্রেন করে দেব। কিন্তু ভোট চলে গেলে তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখানে রাস্তার কাজ হবে বলে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই বোর্ড আর খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।”

