Malda Money Recovered: ‘লক্ষ লক্ষ টাকা অন্যের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল’, কীভাবে ব্যাখ্যা দিল বিজেপি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 20, 2022 | 4:50 PM

Malda Money Recovered: টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন চলছে, তখন অন্যদিকে কালিয়াচকের নতুন শ্রীরামপুর এবং মোজামপুর এলাকা থমথমে।

Malda Money Recovered: ‘লক্ষ লক্ষ টাকা অন্যের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল’, কীভাবে ব্যাখ্যা দিল বিজেপি
এদিকে ৯৯৯ দিনের আমানতে এই ব্যাঙ্ক সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে সুদ দিচ্ছে ৮ শতাংশ। সেখানে এই মেয়াদের জন্য প্রবীণ নাগরিকরা পাচ্ছেন ৮.৫০ শতাংশ হারে সুদ।

Follow Us

মালদা: উদ্ধার হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা তৃণমূল নেতা কর্মীদের। মালদার টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি বিজেপির। পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অন্য তত্ত্ব খাঁড়া করলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “মাদক পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে টাকা নিজেদের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। যখন তখন সিবিআই ইডির অভিযানের ভয়ে এখন যে কোনও বাড়িতে জোর করে হুমকি দিয়ে লুকিয়ে রাখছে। পরিযায়ী শ্রমিকও বাদ যাচ্ছে না তার থেকে।” সরাসরি এই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।

তাঁর আরও দাবি, “তৃণমূলের একটা বড় অংশ এই টাকা সারানোর পেছনে লেগে রয়েছে।” বিজেপি সাংসদের এই তত্ত্বে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “রাজ্যে জনপ্রিয় সরকারকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এটাও তারই অঙ্গ। বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাই বাংলার সরকারকে হেনস্থা করতে চাইছে। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনাতেও বিজেপির চক্রান্ত থাকতে পারে।”

টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন চলছে, তখন অন্যদিকে কালিয়াচকের নতুন শ্রীরামপুর এবং মোজামপুর এলাকা থমথমে। গ্রামবাসীরা কেউই মুখ খুলছেন না। এলাকায় অচেনা লোক দেখলেই চলছে নিজেকে লুকানোর আপ্রাণ প্রয়াস। রাস্তাঘাট ফাঁকা। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিক মইনুদ্দিন শেখের বাড়িও ফাঁকা। কেউ নেই।

এই বাড়ি থেকেই এসটিএফ উদ্ধার করে ৩৭ লক্ষ টাকা। পরে মইনুদ্দিনের স্ত্রী দাবি করেন, এই টাকা রয়েল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবি জোর করে তাঁর বাড়িতে রেখে গিয়েছেন। রয়েল শেখ আপাতত জেল হেফাজতে। গত ফেব্রুয়ারিতে সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। ব্রাউন সুগার পাচারের অভিযোগে তিনি বর্তমানে হাজতে। এই টাকা সেই মাদক পাচারের টাকা বলেই মনে করছে পুলিশ। এসটিএফ এবং সিআইডির তদন্তও সেই পথেই এগোচ্ছে। মাদক চক্রের জাল কত গভীরে, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ময়দানে তেড়েফুঁড়ে পুলিশ।

Next Article