মালদহ: গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে দিনের আলোয় খুন করে দৃষ্কৃতীরা। ধরপাকড় শুরু হলেও, এখনও পর্যন্ত মূলচক্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, সুপারি দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে খুন করা হয়েছে কি না। খুনের আগে পরিকল্পনা করা হয়েছিল কীভাবে? রেইকি করা হল কীভাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দুলাল সরকারের বাড়ির খুব কাছে এক সন্দেহজনক বাড়ির খোঁজ পেল পুলিশ। তালা খুলে তল্লাশি চালানোও হয়েছে সেখানে।
যারা সে দিন দুলাল সরকারের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তারা নিয়মিত থাকতে শুরু করেছিল ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে? পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে এমনই তথ্য। দুলাল সরকারের বাড়ির কাছেই ঘাঁটি গেরে বসে ছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই বাড়িতে কিছু অপরিচিত লোকজনকে যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরে। রোজ রাতে চলত পার্টি। দুলাল সরকার খুন হওয়ার পর থেকে উধাও হয়ে যায় তারা।
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাতে রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া হত ওই বাড়িতে। পুলিশ তালা ভেঙে দেখতে পেয়েছে রান্নার সরঞ্জাম। পড়ে রয়েছে তাস। তাহলে থেকেই দুলাল সরকারের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। রেকি চালানো হতো। দুলাল সরকার খুনের পর থেকেই ওই বাড়িতে আর দেখা যায়নি কাউকে। ওই বাড়ি তালা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।
ওই খুনের ঘটনায় যে দু’জন ওয়ান্টেড, যাদের ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ, তারাও ওই বাড়িতে গিয়ে থাকত বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া বিহার থেকেও কয়েকজন গিয়ে থাকত সেখানে। প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্য বলছেন, যেভাবে খুন করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট যে রেইকি করে খুন করা হয়েছে। ২০০৭ সালেও তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল।