Malda: মাছ ধরতে বেরিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তি, ১২ ঘণ্টা পর মৃতদেহ ভেসে উঠল জলে
Malda: স্থানীয় মানুষজনদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে বারবার ফোন করেও আসেনি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ১২ ঘণ্টা পর দেহ ভেসে ওঠার পর উদ্ধার করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মালদহ: লাগাতার বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর তার জেরে জলমগ্ন পরিস্থিতি একাধিক জায়গায়। এবার বাড়ির পাশের জমা জলে মাছ খুঁজতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন শ্রমিক। স্থানীয় মানুষজনদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে বারবার ফোন করেও আসেনি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ১২ ঘণ্টা পর দেহ ভেসে ওঠার পর উদ্ধার করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিতে হাজির হলে পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ। উত্তেজনা এলাকায়।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোহরা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম তরুণী মণ্ডল (৩৭)। টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে নদীর জলে ওই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ওই ব্যক্তির বাড়ি কার্যত ডুবে গিয়েছে। বাড়ির পাশে জমে রয়েছে জল। সেখানেই মাছের খোঁজ করতে গিয়ে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ ডুবে যায় ওই ব্যক্তি। এলাকার মানুষ দেহ উদ্ধারের জন্য বারবার পুলিশ প্রশাসনকে ফোন করে। ফোন করা হয় বিডিওকেও। রাতের অন্ধকারে যাতে উদ্ধারের কাজ হয়। এলাকার মানুষ নিজেরাই আলোরও ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা ডুবুরি আসেনি বলে দাবি। পরবর্তীতে আর ফোন ধরেননি বিডিও।
এরপর এদিন সকালে দেহ ভেসে উঠলে এলাকার মানুষ নিজেরাই দেহ উদ্ধার করে। তারপর খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তখনই পুলিশকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। প্রশ্ন তোলে এতক্ষণ পুলিশ প্রশাসন কোথায় ছিল? ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেয় তারা। স্থানীয়দের দাবি যখন সন্ধ্যে থেকে তারা এলো না। দেহ উদ্ধারের পর এখন কেন পুলিশ?
মৃতের মা বাসন্তী মণ্ডল বলেন, “মাছ ধরতে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরেনি। ব্যাস সঙ্গে-সঙ্গে আমরা সরকারকে জানাই। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। আজ যখন পুলিশের লোক এল সব শেষ।”

