মালদহ: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণ, হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। তারপর সেই ভিডিয়ো করে বাড়ির লোককে পাঠিয়ে ২ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি , না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ। মারধোরের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল রয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজারের যদুপুরে।
যদুপুর অঞ্চল হাই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। পরিবারের দাবি, বিহারের কাঠিয়ার জেলায় বাবার বাড়িতে যাওয়ার নাম করে গত ৮ তারিখে বাড়ি থেকে ওই ছাত্রকে নিয়ে যায় তারই বৌদি। তারপর রাত্রে ফোন আসে দু লক্ষ টাকা মুক্তিপণের। পরিবারের দাবি, একটি ভিডিয়ো পাঠানো হয়। তাতে দেখা যাচ্ছিল একটি ছোট্ট ঘরে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে । বাড়ির বউমার সঙ্গে বিহারেরই এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বউমা ও তাঁর প্রেমিকই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, বউমা ও তাঁর প্রেমিক হাত-পা বাঁধা মারের ভিডিয়ো বাড়ির লোককে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। বারবার ভিডিয়ো কল করে মারধর, ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেন অভিযোগ। প্রথমে থানায় যেতে ভয় পাচ্ছিল পরিবার। বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কাটিহার গিয়ে থানাতে অভিযোগ করতে বলা হয় বলে দাবি পরিবারের। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। পরে তাঁরা কাটিহার থানাতেও যান। সেখান থেকেও আবার ইংরেজবাজারেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে CWC-র দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ নেয়। যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর স্বামীই বলছেন, “আমাকে তো বলল বাপের বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু একা তো যাবে না। আমার এক এগারো বছরের ভাই রয়েছে। তাকে নিয়ে গিয়েছিল। রাত আমার বাবাকে ফোন করে বলে, যদি ছেলেকে ফিরে পেতে চাও, ২ লক্ষ টাকা পাঠাও। ওকে ভীষণ মারধর করছে, একটা টিনের ঘরে ফেলে রেখেছে। আমাদের ভিডিয়ো পাঠিয়েছে।”