মালদা: মহিলা তৃণমূল কর্মীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাটের অভিযোগ। চলে গ্রামছাড়া করার চেষ্টাও। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে সেই মহিলা তৃণমূল কর্মীর। ঘটনা মালদার (Maldah) কুশিধার উত্তর রামপুরে। মহিলার নাম কলাবতী দাস। ছেলে বাইরে থাকায় অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে এখন পথে বসেছেন ওই মহিলা।
কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা কলাবতী দাস। গ্রামের একমাত্র তৃণমূল কর্মী। বিজেপিকে ভোট না দেওয়ায় নির্বাচনের পর থেকেই তার ওপর অত্যাচার করছেন বিজেপি কর্মীরা। এমনই অভিযোগ তাঁর। তাঁর পাকা বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। অভিযোগ, সেই বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে ইঁট,পাথর ফেলে দেওয়া হয়েছে।
কলাবতীর স্বামী অসুস্থ, ছেলে বাড়িতে বেশির ভাগ সময় থাকেন না। ফলে প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীর। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। মূলত এই উত্তর রামপুর গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দাই বিজেপির কর্মী সমর্থক। দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। অভাবের সংসার। তার ওপরে এই অত্যাচার, ভাঙচুরের ফলে ঘরহীন হয়ে পড়েছেন।
তৃণমূল কর্মী কলাবতী দাস বলেন,” ১৫-১৬ বছর ধরে দল করছি। বাকি সকলে বিজেপি। বিজেপিকে ভোট দিইনি, তাই আমার উপর অত্যাচার করছে।” তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি। দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এরকম করছে আইন অনুযায়ী প্রশাসনকে বলব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুরের মাটিতে এই রাজনীতি চলবে না।”
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের সঙ্গে যোগ কোন নেতাদের? তৃণমূল অন্দরেই শুরু কাদা ছোড়াছুড়ি
বিজেপির মালদা জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন,” এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে সমর্থন করিনা। দলের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে।”