Maldah: ভুয়ো কার্ড তৈরি করে রেশন পাচারের অভিযোগ, কাঠগড়ায় খাদ্য সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 30, 2024 | 2:49 PM

Maldah: উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বৈষ্ণবনগর থানার সাহবানচক পঞ্চায়েতের মালতিপুরের বাসিন্দা ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর।

Maldah: ভুয়ো কার্ড তৈরি করে রেশন পাচারের অভিযোগ, কাঠগড়ায় খাদ্য সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক
রেশন দুর্নীতির অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ:  ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে হাজারের বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে রেশন সামগ্রী পাচারের ঘটনায় এবার খাদ্য সরবরাহ দফতরের এক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু এবং একজন ডাটা এনট্রি অপারেটরকে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করল রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতর। অন্যদিকে এতদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আশরাফুল ইসলাম এবার সামনে এসে ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরির সব দায় চাপিয়েছেন জেলার খাদ্য সরবরাহ দফতরের ঘাড়েই। তাঁর কথায়, এখানে রেশন ডিলারের কিছু করার নেই। এই বিষয়কে সামনে রেখেই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মামলা গ্রহণ করে উচ্চ আদালত। তবে এই নিয়ে বিতর্ক থামছে না। সরগরম রাজনৈতিক মহল। সরব বিরোধীরা। সাফাই তৃণমূলের।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বৈষ্ণবনগর থানার সাহবানচক পঞ্চায়েতের মালতিপুরের বাসিন্দা ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর। এক হাজারের বেশি ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ড ছাপিয়ে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেশনের খাদ্য দ্রব্য তুলে কালোবাজারে বিক্রি করতেন ওই রেশন ডিলার বলে অভিযোগ।

২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁর এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি চলেছে। তদন্ত চালিয়ে এই দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর থেকে দাবি করা হয়েছে। সাহবানচকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি এবং কালিয়াচক ৩ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ‘২২ পর্যন্ত ভুয়া কার্ডে পণ্য তোলার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি খাদ্য সরবরাহ দফতরের।

৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৪ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ডিলারশিপ সাসপেন্ড করা হয়েছে। মালদহের জেলা খাদ্য নিয়ামক শাস্বত সুন্দর দাস বলেন, “শুধু ডিলারকেই নয়, দফতরের একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে টার্মিনেট করা হয়েছে। একজন ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”

Next Article