Maldah: ‘নো টিপস্ নো ওয়ার্ক’, বিএলআরও-র বিরুদ্ধে FIR

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 10, 2024 | 4:42 PM

Maldah: ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকার পারা সামুন্ডা কলোনির বাসিন্দা ফারুক হোসেনের অভিযোগপত্র থেকে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মৌলপুর এলাকায় প্রায় ৫ একর জমি রয়েছে তাঁদের পরিবারের দিলওয়ারা খাতুনের নামে।

Maldah: নো টিপস্ নো ওয়ার্ক, বিএলআরও-র বিরুদ্ধে FIR
অভিযুক্ত বিএলআরও
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক তথা বিএলআরও-র বিরুদ্ধে এফআইআর। একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের পুলিশের। ওল্ড মালদার ঘটনা।
ওল্ড মালদার ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের নাম বিপ্লব কুমার মণ্ডল।

পুলিশ সূত্রে খবর, জমির ফাইলপত্র জালিয়াতি করে মালিকানা বদলের পাশাপাশি ২০ লক্ষ ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মালদহ থানায় এফআইআর হয়। বিএলআরও’র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রজু করেছে মালদহ পুলিশ। অভিযোগ, দফতরে বসেই ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বিএলআরও। তিনি বলেছেন ‘নো টিপস্ নো ওয়ার্ক’। টাকা না দিলে জমি সংক্রান্ত ফাইলপত্র সংশোধন করা হবে না বলেও বিএলআরও বিপ্লব কুমার মণ্ডল সাফ জানিয়ে দেন। প্রশাসনের তরফেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকার পারা সামুন্ডা কলোনির বাসিন্দা ফারুক হোসেনের অভিযোগপত্র থেকে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মৌলপুর এলাকায় প্রায় ৫ একর জমি রয়েছে তাঁদের পরিবারের দিলওয়ারা খাতুনের নামে। সেই জমির মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। বছর কয়েক আগে ওই নিঃসন্তান মহিলা দিলওয়ারা খাতুন মারা গিয়েছেন। তাঁর কোনও সন্তানসন্ততি নেই।

ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সেই জমির অংশীদার হওয়ার কথা প্রয়াত মহিলার ভাইদের ছেলেমেয়েরা। কিন্তু এরই মধ্যে একটি ‘দালালচক্র’ সক্রিয় হয়ে ওঠে। অভিযোগ, ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ওই জমির মিউটেশন করে অন্যদের পাইয়ে দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এটা জানতে পেরে ১১ নভেম্বর জেলাশাসক ও জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের কাছে নালিশ করেন ফারুক হোসেন।

১২ নভেম্বর জমির মালিকানা বদলের জন্য মিউটেশন মামলা শুরু করে দেন। ১৩ নভেম্বর নোটিস ইস্যু করেন বিএলআরও। শুনানির দিন ধার্য করা হয় ২২ ও ২৯ নভেম্বর। কিন্তু গুরুতর অভিযোগ হল, শুনানির চার দিন আগেই ১৮ নভেম্বর মিউটেশন মামলার রায় হয়ে গিয়েছে। জমির মালিকানা পেয়ে গিয়েছেন অন্যরা। যা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও। এরপরই মিউটেশন রায় সংশোধন করে দেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

যদিও অভিযুক্ত বিএলআরও-র বক্তব্য, “এই কাজটা রেভিনিউ অফিসাররাই দেখেন। অভিযোগ যখন উঠল, তখন নিজে দেখেছিলাম। আমি দেখেছিলাম, আমার রেভিনিউ অফিসাররা কেসগুলো ঠিকমতোই মেরিট দিয়েছে। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

 

Next Article