মালদহ: পানা ভর্তি পুকুর। ধার ঘেঁষে রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে এমনিতে খুব একটা বেশি মানুষ যাতায়াত করেন না। সকালে মাঠে যাওয়ার সময়ে কয়েকজনের চোখে পড়েছিল বিষয়টা। পানার মধ্যে কর্দমাক্ত কিছু একটা পড়ে রয়েছে। ভাল করে দেখলে বিষয়টা বুঝতে পারেন, এক মহিলার শরীর। কিন্তু মাথার চুল নেই। চেঁছে দেওয়া হয়েছে। কোমরে আবার বাঁধা একটা দড়ি। গ্রামে ঢি পড়ে যায়। খবর যায় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। মালদহের চাঁচল থানার মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলা বিহার সীমান্তবর্তী মায়াপুর গ্রামে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সকালে কাজে যাওয়ার সময়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এলাকার পানাভর্তি ডোবায় কর্দমাক্ত ওই শরীরটা পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি আদতে মহানন্দা নদীর মরা শাখা। তাতে খুব একটা বেশি জল থাকে না। পানা-কাদায় ভর্তি। তারই মধ্যে পড়ে ছিল দেহটি।
এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষ ভিড় করতে থাকেন দেহ দেখতে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। দেখা যায়, মহিলার কোমরে একটি দড়ি গিট বেঁধে বাঁধা রয়েছে। মাথার চুলও কামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিছক খুন নাকি কোনও ভয়ঙ্কর কুসংস্কারের বলি? উঠছে প্রশ্ন। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে গ্রামের বাসিন্দারা, মহিলাকে দেখে চিনতে পারেননি। মনে করা হচ্ছে, ওই মহিলা এলাকার বাসিন্দা নন। পুলিশ প্রথমে তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় পুলিশ ভাবছে দেহটি ওপারেরও হতে পারে। আশপাশের থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।