মালদহ: অ্যাম্বুলেন্সের দেখা নেই। রাস্তাও খারাপ। খাটিয়াতে শুইয়ে, দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে ছুটছেন দুই ব্যক্তি। ভয়ঙ্কর এই ছবিই দেখা গিয়েছে মালদহের বামনগোলা থানা এলাকার গোবিন্দপুর- মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডাঙা গ্রামে। ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলেও।
সূত্রের খবর, ওই গ্রামেরই গৃহবধূ মামনি রায় (১৯)। বছর কয়েক আগে এলাকার বাসিন্দা কার্তিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মামনির। সম্প্রতি তিনি জ্বরে ভুগছিলেন বলে খবর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করেন। খাটিয়াতে শুইয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি মামনিকে। বাড়িতে তাঁর ২ বছরের এক সন্তানও রয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ঘটনায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবির।
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এলাকার বিজেপি নেত্রী বিনা সরকার কীর্তনিয়া বলেন, “এই বুথে রাস্তার জন্য আগেও আন্দোলন করেছেন এলাকার লোকজন। বিডিও কথা দিয়েছিলেন শীঘ্রই রাস্তা করে দেওয়া হবে। কিন্তু, হয়নি। আজকে আমাদের রাজ্য সরকার পথশ্রী করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু, যদি সত্যিকারের কাজ হত তাহলে এই ১৯ বছরের তরুণীটির প্রাণ অকালে ঝরে যেত না। যে ছবি দেখা যাচ্ছে এ তো পুরো মধ্য়যুগীয় বর্বরতার সামিল। আজকের দিনেও এভাবে কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে এটা তো ভাবতেই পারা যায় না। আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? কেন্দ্র থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তা নয়ছয় করা হচ্ছে।”