মালদহ: পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কাঠগড়ায় পার্শ্ব শিক্ষক। ঘটনা জানাজানি হতে চরম উত্তজনা ছড়াল ওই প্রাথমিক স্কুলটিতে। অভিভাবকরা এসে বিক্ষোভ দেখান স্কুলে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিচন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
অভিযোগ, চলতি মাসের ১৭ তারিখ এই ঘটনা ঘটেছিল বলে খবর। স্কুলের ভিতরই পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে। তবে এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষাকর্মীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার পর আজ স্কুলে আসেননি ওই মাস্টারমশাই। তবে তাঁকে বাড়ি থেকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। এরপর গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
অভিযুক্তের ভাই বলেন, “আমার দাদা স্কুলের প্যারা শিক্ষক। গ্রামের লোক ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়েছে। নিশ্চয় পার্টির লোক হুমকি দিয়ে আমার দাদাকে ফাঁসিয়েছে।” নির্যাতিতা নাবালিকার মা বলেন, “মেয়েটা স্কুলে গিয়েছিল। সেই সময় নোংরা কাজ করেছে। রাতের বেলা মেয়ে বলেছে। এরপর পাশের লোকজনকে বলেছি। ওরা বলেছে থানায় জানাতে। গ্রামের লোক যা বলবে তাই করব।”পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “আমি লোকের মুখে খবর পেয়ে স্কুলে এসেছি। শুনেছি এক মাস্টার মশাই ক্লাস ফাইভের পড়ুয়ার শরীরের যেখানে সেখানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। এই ব্যক্তি জড়িত হলে অবশ্যই শাস্তি হোক।”