Maldah Crime News: মেলায় ডেকে নিয়ে যায় তিন বন্ধু, মাঠে এবার নবম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে ঘৃণ্য আচরণ ৩ সহপাঠীর?
Maldah Crime News: ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছুটির দিন ছিল। কোনও টিউশন ছিল না দেবরাজের। সন্ধ্যায় বাড়িতেই পড়ছিল সে।
মালদা: বাড়িতে ডাকতে এসেছিল তিন-চার জন বন্ধু। প্রত্যেককেই বাড়ির লোক চেনে। তারা জানিয়েছিল সবাই একসঙ্গে মেলা দেখতে যাবে। এই বলে নবম শ্রেণির ছাত্রকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় তারা।বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন নির্দিষ্ট সময়েই ফিরে আসবে ছেলে। কিন্তু আসেনি। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় খোঁজ। রাতভর খুঁজেও মেলেনি ছেলের হদিশ। সকালে এলাকার মাঠ থেকেই রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হবিবপুর থানার বেগুনবাড়ি এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবরাজ রাজবংশী নামে ওই ছাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে পলাতক তিন অভিযুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কোনও টিউশন ছিল না দেবরাজের। সন্ধ্যায় বাড়িতেই পড়ছিল সে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তিন-চার জন বন্ধু তাকে ডাকতে আসে। তারপর মেলা যাওয়ার নাম করে তাকে নিয়ে চলে যায় ওই তিন জন। রাত ১০টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরে না দেবরাজ। তারপর পরিবারের সদস্যরা আশেপাশের এলাকাগুলিতে খোঁজ শুরু করেন। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই খোঁজ করা হয়।
অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজির পরও কোনও হদিশ মেলে না। এরপর সকালে স্থানীয় থানায় মিসিং ডায়েরি করতে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সকালেই প্রতিবেশীদের থেকে তাঁরা খবর পান, গ্রামেরই মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেবরাজ। শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। দেবরাজকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেবরাজের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এই ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় ওই তিন বন্ধুরও হাত থাকতে পারে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে। হবিবপুর থানার পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন বন্ধুরা এমন কাজ করল? এই পিছনে কোনও ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক নেই তো? সব দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ছাত্রের মা বলেন, “বাড়ি থেকে ওরা নিয়ে গেল। আমি বললাম তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।অনেক রাত গয়ে গেলেও ফির আসছিল না ওরা। সকালে তো দেখি এই অবস্থা।”