মালদহ: ২৪ ঘণ্টা কাটলেও এখনও মালদহের নির্যাতিতার নাম পরিচয় জানতে পারা যায়নি। তবে তাঁর পরিচয় জানতে কোনও কসুর করছে না চাঁচল থানার পুলিশ। এ দিকে, সোমবার সকালে এক মহিলার পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে দেহ শনাক্তকরণের জন্য। তবে এই মহিলাই নির্যাতিতা নাকি অন্য কেউ তার এখনও সদুত্তর মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে পরিবারকে শনাক্তকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ওই পরিবারের মেয়ে গত বুধবার থেকে নিখোঁজ। মহিলার বাড়ি চাঁচলে। বিয়ে হয়ে গিয়ে তাঁর। অপরদিকে, হরিশচন্দ্রপুরের নির্যাতিতার মুখ যেহেতু পুরো পুড়ে গিয়েছে তাই তাঁকে চিনে উঠতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশের। তবে উদ্ধার হওয়া জামা-কাপড় থেকে নিখোঁজ মহিলার বাবা-মা দেহ শনাক্তের চেষ্টা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে বীভৎস অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পান। অনুমান, তাঁকে প্রথমে গণর্ধষণ করা হয়েছে। এরপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লঙ্কার গুড়ো ছড়িয়ে দিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। এরপরও শেষ হয়নি। অ্যাসিড ঢেলে মহিলার মুখ পুড়িয়ে খুন অভিযুক্তদের। এই ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নদুল ইসলাম বলেন, “গণধর্ষণ করা হয়েছে ওনাকে। শুনতে পেয়ে এলাকায় এসেছি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের লোকজন এসেছে। কিন্তু কেউই চিনতে পারেনি।”