Maldah Harassment: নির্যাতিতার দেহ কার? শ্বশুর-বাপের বাড়ির টানাপোড়েনে DNA টেস্টের পথে প্রশাসন

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 16, 2023 | 6:57 PM

Maldah Harassment: বস্তুত, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এলাকাবাসীর অনুমান, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের শরীরে ছিল একাধিক ছুরির কোপ। শুধু তাই নয়, অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যা বলে বোঝানো যায় না।

Maldah Harassment: নির্যাতিতার দেহ কার? শ্বশুর-বাপের বাড়ির টানাপোড়েনে DNA টেস্টের পথে প্রশাসন
মালদহে নারী নির্যাতন
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

মালদহ: শ্বশুরবাড়ি বলেছে তাঁদের বৌমা নয়, বাপের বাড়ি বলছে তাঁদের বাড়ির মেয়ে। সোমবার মালদহে ‘খুন’ হওয়া নির্যাতিতার দেহ শনাক্তকরণে চলল এমনই নাটক। শেষে টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে ডিএনএ টেস্টের পথে হাঁটছে জেলা প্রশাসন।

বস্তুত, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এলাকাবাসীর অনুমান, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের শরীরে ছিল একাধিক ছুরির কোপ। শুধু তাই নয়, অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যা বলে বোঝানো যায় না। মহিলার গোপনাঙ্গে ছড়িয়ে দেওয়া হয় লঙ্কার গুঁড়ো। অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুখ। মৃতদেহের আশেপাশে পড়েছিল মদের বোতল। সঙ্গে ছিল গর্ভনিরোধকের প্যাকেট।

এ দিকে রবিবার রাতেই চাঁচল থানা এলাকার নিখোঁজ এক গৃহবধুর পরিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় যায়। মৃতদেহের ছবি দেখে তাঁদের অনুমান ওই দেহ তাঁদের বধূর। মেয়ের বাপের বাড়ির লোকেরাও অনুমান করে ওই মৃতদেহ তাঁদের মেয়ের। তবে জল উল্টো গড়াতে শুরু করল যখন আজ নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী প্রথমে মালদা মেডিক্যালে যান। মৃতদেহ সামনাসামনি দেখার পর স্বামীর দাবি এই দেহ তাঁর স্ত্রীর নয়। তিনি বলেন,”বুধবার আমার স্ত্রী যেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল এই পোশাক তাঁর পরণে ছিল না। হাতের চুড়ি গায়ের রং বা পায়ের আঙুলেরও মিল নেই। এই দেহ আমার স্ত্রীর নয়।”

তবে স্বামী বেরিয়ে যাওয়ার পরেই মালদা মেডিক্যাল কলেজে যান নিখোঁজ গৃহবধুর মা। তিনি আবার মৃতদেহ দেখে দাবি করেন ওই দেহ তাঁর মেয়েরই। তিনি বলেন,”আমার মেয়ের চুল, পেটের কাটা দাগ, হাতের চুড়ি মিলে যাচ্ছে। বুধবার থেকে আমার মেয়ে নিখোঁজ।”

এ দিকে, দেহের শনাক্তকরণ নিয়ে দুই পরিবারের টানাপড়েনে ডিএনএ টেস্টের পথে হাঁটছে প্রশাসন। পাশাপাশি সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

অন্যদিকে ওই নিখোঁজ গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির পরিবার এবং শ্বশুরবাড়ির এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় বছর আগে গৃহবধুর বিয়ে হয়। স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম। তাঁদের কোন সন্তান নেই। প্রায় অশান্তি লেগে থাকত স্বামী স্ত্রীর। বুধবার বাবার বাড়ি যাওয়ার নাম করে গৃহবধূ শশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি।

গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির গ্রামের এক বাসিন্দার দাবি,”ওই মহিলার সঙ্গে হয়তো বিবাহ বহির্ভূত কারোর সম্পর্ক ছিল। এর আগে এই নিয়ে সালিশি হয়েছিল। সেই সব কারণেই হয়তো বাড়ি ছেড়ে যেতে পারে।”

Next Article