মালদহ: পুজোর মুখেই ভয়াবহ ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হল প্রচুর তাজা বোমা। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, শিশুরাই ওই ব্যাগে প্রথমে হাত দিয়েছিল বুধবার সকালে। তারাই ওই ব্যাগ এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু ব্যাগের ভিতর একটা ছুরি পড়ে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যায় তারা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন, ব্যাগের ভিতরে রয়েছে বোমা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হরিশ্চন্দ্রপুরের ঝিকোডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা।
বোমা দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বোমা দুটি রাস্তার মাঝখানে রেখে রেখে জল ঢেলে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে ভিলেজ পুলিশ। গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই কীভাবে পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে?
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই রয়েছে জনবসতি। যে কোনও সময় অঘটন ঘটে যেতে পারত বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। কে বা কারা ওই স্থানে ওই ব্যাগটি ফেলে গেল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দুষ্কৃতীদের আনাগোনা ক্রমশ বাড়ছে বলেও অভিযোগ এলাকবাসীর। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ কাবিল ইসলাম বলেন, “এর আগে এই গ্রামের মানুষ কখনও এত বোমা দেখেনি। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।”
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা দেবব্রত পাল বলেন, “প্রথমে কুশিদায় মহিলার অ্যাসিড দগ্ধ দেহ উদ্ধার, এবার এখানে বোমা উদ্ধার। হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী পুজোর মুখে কোনও ভাবেই সুরক্ষিত বোধ করতে পারছেন না। পুলিশ প্রশাসন মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।”
তৃণমূল নেতা সাহেব দাসের দাবি, অপরাধীদের কোনও রাজনৈতিক রঙ হয় না। পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকী বিরোধীদের চক্রান্ত থাকতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।