মালদা: খেলার মাঠে বিবাদ। আর এই বিবাদকে কেন্দ্র করে একটি বাড়ি ও চারটি দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর লোকেদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে চাঁচল আশাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল আশাপুর রাজ্য সড়কের প্রাণসাগর এলাকায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। শেষে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খান।
মহালয়ার দিন কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কলিগ্রাম মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে অংশ নিয়েছিল প্রাণসাগর এবং নিমতলা গ্রাম। খেলার সময় বিবাদে জড়িয়ে পড়ে প্রাণসাগর এবং নিমতলা গ্রাম। অভিযোগ, সেই বিবাদের জেরে নিমতলা গ্রামের পক্ষ নিয়ে প্রাণসাগর এলাকায় একটি বাড়ি এবং একাধিক দোকানে গতকাল রাতে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রধান রেজাউল খান ও তাঁর লোকজন। এরই প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। শুধু বাড়িতে আগুন লাগানো নয়, এলাকায় দুটি বোমা ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে এলাকা। দোকানে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পরেই ভোর পাঁচটা থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে, বেঞ্চ পেতে বিক্ষোভের শামিল হন গ্রামবাসী থেকে শুরু করে অভিযোগকারীরা। টানা অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। সমস্যায় জেরবার হন সাধারণ মানুষ।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খান। তিনি বলেন, “খেলার মাঠে আমার ভাই ইমরান খানকে বেধড়ক মারধর করে ওই এলাকার মানুষ। ভাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছে। এলাকার কিছু ব্যক্তি আমার রাজনৈতিক জীবন নষ্ট করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ সামনে আনছেন। পুলিশ রয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করবে।”