মালদহ: ক্লাস চলছিল। চোখ ছিল ব্ল্যাক বোর্ডে আর মন দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনছিল পড়ুয়ারা। আচমকাই ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে এক যুবক। এক হাতে পিস্তল আরেক হাতে পেট্রল বোমা। স্কুলেই বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ল এক যুবক, মার্কিনমুলুক নয়, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা খোদ মালদার মুচিয়ায়। এ খবর সাধারণত সংবাদপত্রের বিদেশের পাতায় পড়তে কিংবা দেখতে অভ্যস্ত আম বাঙালি। কিন্তু এবার এই রাজ্যে। খোদ বাংলায়। মালদার কালিয়াচকে বন্দুক হাতে স্কুলে ঢুকে পড়লেন এক যুবক। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য জানা যাচ্ছে, ওই যুবক একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যায় এই কাজ করেছেন। কিন্তু তার জন্য স্কুলে কেন ঢুকে পড়লেন? একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সবুজ শার্ট, সামনে একটা ব্যাক প্যাক, ডান হাতে পিস্তল আর বাঁ হাতে পেট্রল বোমা হাতে এক যুবক। চোখে চশমা। বয়স চল্লিশের কোঠায়। যুবক দৃশ্যত আতঙ্কবাদী লাগছে না। ভরা ক্লাসে শিক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। পড়ুয়ারা বেঞ্চে বসেই হতবাক। ওদের প্রত্যেকেরই বয়স বারো-তেরোর মধ্যে। আর শিক্ষকের হাতে তখনও চক পেনসিল। ভয়ে কাঁপছেন সকলে। সকলকে ‘পণবন্দি’ করার চেষ্টা করছিলেন একাকী সেই যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবক পেট্রল বোমা ছোড়ার হমকি দিতে থাকেন। পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে কিছু বলতে থাকেন তিনি।
গোটা ঘটনাটি কেউ একজন ভিডিয়ো করেছেন। তাতে যা শোনা যাচ্ছে, যুবক তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর স্ত্রী ২০২১ সাল থেকে নিখোঁজ। তাঁর দাবি. তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সাল থেকেই এসডিপিও, বিডিও, নবান্ন সব জায়গায় জানিয়েছেন। ২১.০৬.২০২১ সালে আবার এসডিপিও-কে জানিয়েছেন। তারপরও কোনও খোঁজ পাননি। কাগজ হাতে তিনি এক নাগাড়ে তারিখ ধরে অনেক কিছুই বলার চেষ্টা করছিলেন। মাঝে এও দেখা যায়, একজন তাঁকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মেরে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। ক্লাসরুমে তখন ভয়ে আতর্নাদ করছিল খুদে পড়ুয়াগুলো।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে এসব। তার মাঝেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। পড়ুয়াদের দ্রুত ক্লাস থেকে বার করা হয়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাদের মধ্যে। চরম নাটকীয়তার মধ্যে যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। তখনও তিনি অদ্ভুতভাবেই ভাবলেশহীন। তবে স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে স্কুলে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ার মধ্যে কী সম্পর্ক, তা যুবকের থেকেই জানতে চাইছে পুলিশ। আপাতত তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইন নিজের হাতে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। কেউ আইন নিজের হাতে নেবেন না। যদি কোনও পুলিশ অফিসার ভুল করেন, তাহলে তার ওপরওয়ালা আছে। সেখানে জানান। আবার অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেওয়াও আইনবিরুদ্ধ। এটা সমাজকেও বার্তা দিতে হবে। পুলিশকে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে।”
মালদহ: ক্লাস চলছিল। চোখ ছিল ব্ল্যাক বোর্ডে আর মন দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনছিল পড়ুয়ারা। আচমকাই ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে এক যুবক। এক হাতে পিস্তল আরেক হাতে পেট্রল বোমা। স্কুলেই বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ল এক যুবক, মার্কিনমুলুক নয়, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা খোদ মালদার মুচিয়ায়। এ খবর সাধারণত সংবাদপত্রের বিদেশের পাতায় পড়তে কিংবা দেখতে অভ্যস্ত আম বাঙালি। কিন্তু এবার এই রাজ্যে। খোদ বাংলায়। মালদার কালিয়াচকে বন্দুক হাতে স্কুলে ঢুকে পড়লেন এক যুবক। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য জানা যাচ্ছে, ওই যুবক একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যায় এই কাজ করেছেন। কিন্তু তার জন্য স্কুলে কেন ঢুকে পড়লেন? একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সবুজ শার্ট, সামনে একটা ব্যাক প্যাক, ডান হাতে পিস্তল আর বাঁ হাতে পেট্রল বোমা হাতে এক যুবক। চোখে চশমা। বয়স চল্লিশের কোঠায়। যুবক দৃশ্যত আতঙ্কবাদী লাগছে না। ভরা ক্লাসে শিক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। পড়ুয়ারা বেঞ্চে বসেই হতবাক। ওদের প্রত্যেকেরই বয়স বারো-তেরোর মধ্যে। আর শিক্ষকের হাতে তখনও চক পেনসিল। ভয়ে কাঁপছেন সকলে। সকলকে ‘পণবন্দি’ করার চেষ্টা করছিলেন একাকী সেই যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবক পেট্রল বোমা ছোড়ার হমকি দিতে থাকেন। পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে কিছু বলতে থাকেন তিনি।
গোটা ঘটনাটি কেউ একজন ভিডিয়ো করেছেন। তাতে যা শোনা যাচ্ছে, যুবক তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর স্ত্রী ২০২১ সাল থেকে নিখোঁজ। তাঁর দাবি. তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সাল থেকেই এসডিপিও, বিডিও, নবান্ন সব জায়গায় জানিয়েছেন। ২১.০৬.২০২১ সালে আবার এসডিপিও-কে জানিয়েছেন। তারপরও কোনও খোঁজ পাননি। কাগজ হাতে তিনি এক নাগাড়ে তারিখ ধরে অনেক কিছুই বলার চেষ্টা করছিলেন। মাঝে এও দেখা যায়, একজন তাঁকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মেরে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। ক্লাসরুমে তখন ভয়ে আতর্নাদ করছিল খুদে পড়ুয়াগুলো।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে এসব। তার মাঝেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। পড়ুয়াদের দ্রুত ক্লাস থেকে বার করা হয়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাদের মধ্যে। চরম নাটকীয়তার মধ্যে যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। তখনও তিনি অদ্ভুতভাবেই ভাবলেশহীন। তবে স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে স্কুলে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ার মধ্যে কী সম্পর্ক, তা যুবকের থেকেই জানতে চাইছে পুলিশ। আপাতত তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইন নিজের হাতে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। কেউ আইন নিজের হাতে নেবেন না। যদি কোনও পুলিশ অফিসার ভুল করেন, তাহলে তার ওপরওয়ালা আছে। সেখানে জানান। আবার অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেওয়াও আইনবিরুদ্ধ। এটা সমাজকেও বার্তা দিতে হবে। পুলিশকে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে।”