ঠিক এক দিন আগেই স্বামী ফোন করেছিলেন, অপ্রত্যাশিত বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন স্ত্রী!

মাবুদের বাড়ি মালদার চাঁচলের মতিহারপুরে। প্রথমে গ্রামে পান পাতা বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। কিন্তু তাতে নুন আনতে পানতা ফুরোচ্ছিল। বাধ্য হয়েই পাড়ি দেন হায়দরাবাদে।

ঠিক এক দিন আগেই স্বামী ফোন করেছিলেন, অপ্রত্যাশিত বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন স্ত্রী!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 1:08 PM

মালদা: ঠিক এক দিন আগেই স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টা জানিয়েছিলেন। তারপরই বাড়িতে আসে সেই অপ্রত্যাশিত ফোন। ট্রেনের মধ্যে পড়ে রয়েছে স্বামীর দেহ- ফোন পেয়েই স্ত্রী আঁচ করতে পেরেছিলেন কারণটা। ট্রেনের কামরায় মালদার (Maldah) এক পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম মাবুদ আলি (৪০)।

মাবুদের বাড়ি মালদার চাঁচলের মতিহারপুরে। প্রথমে গ্রামে পান পাতা বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। কিন্তু তাতে নুন আনতে পানতা ফুরোচ্ছিল। বাধ্য হয়েই পাড়ি দেন হায়দরাবাদে। সেখানে ৬০ দিনের দাদন চুক্তিতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করতে থাকেন। মঙ্গলবার বাড়িতে খবর আসে, ট্রেনে তাঁর দেহ মিলেছে। ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছে মাবুদের পরিবার।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার এক দিন মাবুদ ফোনে জানান টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে ঠিকাদার অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছে। পাওনা টাকা চাওয়ায় অর্জুন তাঁকে মারধর করেছেন বলে ফোনে নাতি মাবুদ তাঁর স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। এই কারণেই চুক্তি পূরণের আগেই মাবুদ বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন। খড়্গপুরে ট্রেনের মধ্যে থেকে মাবুদের দেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: কেউ কথা রাখেনি: কচু-শাকপাতা খেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিনগুজরান

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃতের পরিবারে যায় মতিহারপুর অঞ্চলের তৃণমূলের প্রধান পপি দাস, দলনেতা সাকিরুদ্দিন, মালদা জেলা টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক বাবু সরকার-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মাবুদের স্ত্রীর বিধবা ভাতা, ও জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্পের আওতায় যেন আসে তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।