Maldah: কৃষক মৃত্যুতে পরিবারকে টাকা দিয়েছে রাজ্য, সেখানেও ‘২ নম্বরীদের’ জাল!

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 12, 2023 | 12:32 PM

Maldah: ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বামন গোলা ব্লকের মদনাবতি অঞ্চলের বাসিন্দা কৃষক রশিদা বিবির মৃত্যু হয় এক বছর আগেই। তাঁর স্বামী নুরুদ্দিন সরকার কৃষক বন্ধু মৃত্যু সহায়তা প্রকল্পে আবেদন করেন। গত সপ্তাহে তাঁর অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়

Maldah: কৃষক মৃত্যুতে পরিবারকে টাকা দিয়েছে রাজ্য, সেখানেও ২ নম্বরীদের জাল!
কৃষক বন্ধু মৃত্যু জনিত সহায়তা প্রকল্পেও দুর্নীতির জাল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: ‘কৃষক বন্ধু মৃত্যু জনিত সহায়তা’ প্রকল্পেও দুর্নীতি। মৃত কৃষকের পরিবারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। কৃষি দফতরের আধিকারিকদের টাকা দিতে হবে বলে মৃত কৃষকের পরিবারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। তবে এক্ষেত্রে উলটপুরাণ! প্রশাসনের তৎপরতায় ব্লক কৃষি অধিকর্তার উদ্যোগে এ যাত্রা টাকা হাতে পান মৃত কৃষকের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকে।

ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বামন গোলা ব্লকের মদনাবতি অঞ্চলের বাসিন্দা কৃষক রশিদা বিবির মৃত্যু হয় এক বছর আগেই। তাঁর স্বামী নুরুদ্দিন সরকার কৃষক বন্ধু মৃত্যু সহায়তা প্রকল্পে আবেদন করেন। গত সপ্তাহে তাঁর অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আবেদনকারী নুরুদ্দিন সরকারের বক্তব্য, তাঁর  ভাইপো গোলাম রসুল তাঁকে জানান, এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার পর কিছু টাকা কৃষি দফতরকে দিতে হয়। গোলাম রসুলের কথা মতো নুরুদ্দিন তাঁকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েও দেন।

এরপর আবেদনকারীর ভাইপো অর্থাৎ অভিযুক্ত গোলাম রসুল ব্লক কৃষি আধিকারিককে জানান, যে তাঁর কাকা এখনও কোনো টাকা পাননি। এখানেই ভুল করে ফেলেন অভিযুক্ত। সন্দেহ হয় কৃষি আধিকারিকের। সংশ্লিষ্ট কৃষি আধিকারিক আবেদনকারীকে দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তিনি জানতে পারেন, আবেদনকারীর ভাইপোই ৩০ হাজার টাকা তুলেছেন।

এই ঘটনা জানার পরেই কৃষি আধিকারিক গোলাম রসুলকে ডেকে পাঠান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ৩০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। গোলাম রসুলের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে আবেদনকারী নুরুদ্দিন সরকারের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি ব্লকের সমস্ত কৃষকদের সতর্ক করেন,  যাতে কেউ কোনও দালালের খপ্পড়ে না পড়েন।  প্রতারিতের বক্তব্য, “এক বছর আগে টাকা ক্লেইম করা হয়েছিল। টাকা ঢোকেও। আমার মোবাইলে মেসেজ ঢুকেছিল। কিন্তু আমি সেটা খেয়াল করিনি। তাতেই গন্ডগোল হয়ে গিয়েছিল। ওর কথা বিশ্বাস করে ৩০ হাজার টাকা দিয়েও দিয়েছিলাম। স্যরই ফোন করে রসুলকে ডেকে পাঠিয়ে টাকা উদ্ধার করে দিল। আসলে রসুল আমাকে বলেছিল, এসব কাজের জন্য টাকা লাগবে।” কৃষি আধিকারিকদের বক্তব্য, “কৃষক বন্ধু মৃত্যু জনিত সহায়তা প্রকল্পে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। ওই মহিলার স্বামীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেও যায়। আসলে ওর ভাইপোই গন্ডগোল করেছেন। তিনি এডিও অফিসের নাম করে ৩০ হাজার টাকা তোলেন। আমি বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করি।” অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবশ্য আইনি কোনও পদক্ষেপ এখনও করা হয়নি।

Next Article