মালদা: বৈবাহিক জীবনের বয়স মাত্র ৬। এবছরই প্রথম ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’একসঙ্গে থাকার কথা তাঁদের। সেদিনই স্ত্রীর মুখে চাকুর কোপ স্বামীর। শোরগোল মালদার চাঁচলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,জখম ওই গৃহ বধূর নাম রুজি খাতুন। বছর কুড়ির রুজির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বড়ই এলাকায়। পরিবারের সম্মতিক্রমে মাস ছয়েক আগে চাঁচল থানার সিঙ্গিয়া এলাকার যুবক আব্দুল গনির সঙ্গে বিয়ে হয় রুজি খাতুনের। বিয়ের পর থেকে শুরু হয় নানান অশান্তি। পণের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে নানান অত্যাচার শুরু করে স্বামী আব্দুল গনি। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে যান নির্যাতিতা গৃহবধূ। নির্যাতিতার মা ছবি খাতুন সম্পত্তি বিক্রি করে জামাইয়ের দাবি মতো পণের লক্ষ লক্ষ টাকা দেন। অভিযোগ, তারপরও আরও টাকার চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত আব্দুল গনি। কিন্তু মেয়ের পরিবার জামাইয়ের সেই দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ।
এরপরই রুজি খাতুনের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চান আব্দুল গনি। বিচ্ছেদের পরে রুজি খাতুন বিয়েতে দেওয়া পণের টাকা স্বামীর কাছে ফেরত চাইতে যান। অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল গনি বেধড়ক রুজিকে মারধর করতে থাকেন। অভিযোগ, প্রেমদিবসের সকালে চাঁচলের নেতাজি মোড়ে চাকু দিয়ে স্ত্রীর মুখে আঘাত করেন স্বামী। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নেতাজি মোড় এলাকায়। প্রতিবেশীরা তাঁকে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আক্রান্ত গৃহবধূ। গোটা ঘটনা জানিয়ে চাঁচোল থানায় জামাই আব্দুল গনির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর পরিবার।
আক্রান্তের মা ছবি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে নানান অশান্তি শুরু করে জামাই। শুধু তাই নয়, আমরা জানতে পারি জামাই পূর্বে আরও একটি বিয়ে করে। আমার কাছে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা পণ নেই। কিন্তু তারপরও আমার মেয়েকে সে তালাক দেয়। আমার মেয়ে সেই টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে মেয়ে কে ব্যাপক মারধর করে জামাই। এমনকি মুখে চাকুর কোপ মারা হয়। মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি ওর শাস্তি চাই। যদিও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল গনিকে গ্রেফতার করেছে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ।