মালদহ: ভালবেসেছিলেন একে অপরকে। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সংসারও পেতেছিলেন। তবুও টিকল না। বিয়ের কুড়ি দিনের মাথায় উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, পণের জন্যই খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহর কালিয়াচক থানার দুইশত বিঘির খুব লালটোলা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম মমতা মণ্ডল (২১)। কুড়ি দিন আগে প্রসেনজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মমতার। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, বিয়ের পরই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মোটা টাকা পণের দাবি জানান। শ্বশুরবাড়ির চাহিদা মতো সেই টাকা দিয়েও দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার মমতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হতেই খুনের তত্ত্ব সামনে এনেছে পরিবার। তাঁদের দাবি, স্বামী প্রসেনজিৎ মণ্ডল, শ্বশুর মহাদেব মণ্ডল, শাশুড়ি জ্যোৎস্না মণ্ডল সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। তবে গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। মৃতের দাদা বলেন, “ওরা প্রেম করত। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। তারপর বাড়িতে জানাজানি হলে আমরা মেনেও নিয়েছিলাম। বিয়ের পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন আমাদের কাছে মোটা টাকা পণ চেয়েছিল। আমরা মিটিয়েও দিই। আর তারপর আজ সকালে উদ্ধার হল দেহ।”